× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অবহেলায় পড়ে আছে ২৫ কোটি টাকার শিক্ষাভবন

বাংলারজমিন

অলিউল আহসান কাজল, মাদারীপুর প্রতিনিধি
২৫ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার

মাদারীপুর জেলার কবিরাজপুরে দুই বছর আগে মেডিকেল এসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস্‌)-এর ভবন নির্মাণকাজ শেষ হলেও এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। নানা ধরনের প্রশাসনিক জটিলতায় ভবনগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। এতে এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের দক্ষ মেডিকেল এসিসটেন্ট হিসেবে তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয়রা বলছেন, এই ম্যাটস্‌টি চালু হলে দেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সেবা দেয়ায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। তবে- কর্তৃপক্ষ বলছে, ম্যাটস্‌টি চালু করার জন্য তারা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
মাদারীপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৬ই নভেম্বর রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর ইউনিয়নের শোলপুর গ্রামে ৩ একর জমির উপরে ১৭ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৯ টাকা খরচে দেশের দক্ষ মেডিকেল এসিসটেন্ট তৈরির করার জন্য মেডিকেল এসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস্‌) নির্মাণকাজ শুরু হয়। ঢাকার মোহাম্মদপুর ঠিকানার বিবিএল অ্যান্ড ঈশান ইঞ্জিনিয়ারিং কোঃ লিঃ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করে। তাদের অধীনে একটি একাডেমিক ভবন, দুইটি হোস্টেল, একটি অধ্যক্ষের বাসভবন, দুইটি স্টাফ কোয়ার্টার, একটি গ্যারেজ কাম ড্রাইভার কোয়ার্টার ও একটি সাব-স্টেশন ২০১৮ সালের ২০শে আগস্ট শেষ করে।
পরবর্তীতে আবার ৮ কোটি ৯৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা খরচে এভারেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ২০২০ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর একটি বালক হোস্টেলের নির্মাণকাজ শুরু করে। যা চলতি বছর শেষ করে। কিন্তু নির্মাণের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করে কর্তৃপক্ষ ম্যাটস্‌ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। এতে মাদারীপুরসহ এই অঞ্চলের মেডিকেল এসিসট্যান্ট বিষয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা দক্ষ জনবল ক্যারিয়ার গড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি ভবনগুলোতে কোনো কার্যক্রম না থাকায় মাদকসেবীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই দ্রুত এটি চালু করার দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা শাওন করিম বলেন, ভবনগুলো ভূতের বাড়ির মতো দাঁড়িয়ে আছে। কোনো কাজে আসছে না। উল্টো মাদকসেবীরা এটাকে নিরাপদ আশ্রয় মনে করে এবং এখানে বসে আড্ডা দেয়। আমরা চাই দ্রুত এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হোক। আরেক বাসিন্দা রিফাত হোসেন সুজন বলেন, কোনো পরিকল্পনা না করে আগেই ভবন তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম কবে শুরু হবে কেউ জানে না।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমেদ খান জানান, কবিরাজপুরের ম্যাটস্‌টির কার্যক্রম আমরা শুরু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তবে বিষয়টি তো আমার একার হাতে নেই। অনেকগুলো দপ্তর এখানে জড়িত। চাইলেই আমি শুরু করে দিতে পারি না। তবে- ২০২২ সালের মধ্যে এটি চালু করা যায় কিনা আমি সে চেষ্টা করবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর