× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রচণ্ড শীত ও তীব্র কুয়াশায় বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক

বাংলারজমিন

মাহফুজুর রহমান সোহাগ, নালিতাবাড়ী থেকে
২৫ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার

সামনের দিনগুলোতে ঝড় তুফান ও প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার কথা মাথায় রেখে ইরি-বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন শেরপুর জেলার কৃষকরা। নিজ হাতে বোনা সবুজ চারায় স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। পড়ে থাকা জমিও  এবার আবাদ হচ্ছে। আগামীতে ভালো  দাম ও বাম্পার ফলনের আশায় ফসলের মাঠের সবটুকু জমিই এবার আবাদের আওতায় এনে তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন কৃষকরা।
সূত্রে জানা যায়, দেশের সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলা ধান উৎপাদনের জন্য খুবই উপযোগী। খাদ্য উদ্বৃত্ত এ জেলার কৃষকরা আমন ধানের ভালো দাম পাওয়ায় তীব্র কুয়াশা ও প্রচণ্ড শীতকে উপেক্ষা করে আগে-ভাগেই শুরু করে দিয়েছেন ইরি- বোরো ধানের আবাদ। সকাল সকাল কোদাল হাতে নিয়ে বের হয়ে পড়েন কৃষকরা। ইতিমধ্যে ইরি-বোরো বীজতলা তৈরির কাজ শেষ করে ইরি-বোরো চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
এদিকে, বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় গেল মৌসুমে এ জেলার কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মোট ৯২ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছিল। দামও পেয়েছে বেশ ভালো।
ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা ধান চাষে খুবই আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর এলাকার কৃষক আনসার আলী জানান, আমরা এবার আমন ধানের ভালো দাম পেয়েছি। তাই আগে-ভাগেই ইরি-বোরো ধানের চাষ শুরু করছি।
কামারিয়া এলাকার কৃষক আবদুর রহিম বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল আইসা ফসল নষ্ট করে, তাই আমরা আগাম জাতের ইরি-বোরো ধানের আবাদ করতাছি। যাতে বর্ষা আসার আগেই ধান কাটবার পাই’। নালিতাবাড়ী উপজেলার রুপাকুড়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আঃ জলিল বলেন, এবার আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে আগে-ভাগেই বোরো আবাদের প্রস্তুতি শুরু করেছি। ইতিমধ্যে আমি ১৫ কাঠা জমি প্রস্তুত করেছি। এবার পরিত্যক্ত থাকা জমিও এবার আবাদের আওতায় এনেছি। জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মুহিত কুমার দে জানান, ইতিমধ্যে শেরপুর জেলাজুড়ে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু করেছেন কৃষকরা। কৃষকদেরও প্রত্যাশা আবহাওয়া অনুকূল থাকলে তারা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ইরি-বোরো ধানের  আবাদ করবেন। আমরা কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর