শ্রীনগরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের আলামিন এলাকায় ২ দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ২ গ্রুপের লোকজন থানায় অভিযোগ করতে এসে থানার গেটের সামনে তৃতীয় দফায় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে পুলিশ ৫ জনকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানায়, সদ্য ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জয়ী প্রার্থী নুরুল আমিন মোড়ল ও তার লোকজন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী সামাদ মেম্বারের লোকজনকে উদ্দেশ্য করে অনবরত ফেসবুকে স্ট্যাটাস প্রদান করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপে উত্তেজনা দেখা দেয়। রোববার সন্ধ্যায় নরুল আমিন মেম্বার আলোর দিশারী ক্লাবের সামনে তার লোকজন নিয়ে সামাদ মেম্বার গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে ২ গ্রুপ ওই স্থান ত্যাগ করে। এ ঘটনার ১৫ মিনিট পরে নুরুল আমিন মোড়ল পুনরায় তার লোকজন নিয়ে আলামিন বাজারে উপস্থিত হয়ে ফের সামাদ মেম্বারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে আজিবর শেখ (৪২) এর মাথা ফেটে যায়। এ ছাড়াও তানিয়া (৩৮), মাসুদ (৩৫) সহ বেশ কয়েকজন অহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথে তারা বাধার মুখে দোহার উপজেলায় গিয়ে চিকিৎসা নেয়। পরে নুরুল আমিন মেম্বারের লোকজন আক্রোশ থেকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বৈরী সাক্ষী আবুল হোসেনের ছেলে রফিকের মোটরসাইকেলটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।
অপরদিকে নরুল আমিন মেম্বার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সামাদ মেম্বারের লোকজনই তাকেসহ তার লোকজনকে মারধর করেছে। তিনি দাবি করেন তার পক্ষের কামাল, আতিক ইসলাম, আরমান, বাবু, রবিনসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ২ গ্রুপ থানায় অভিযোগ দিতে এসে থানার গেটে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় পুলিশ মনির হোসেন, মনির শেখ, রায়হান মোড়ল, মো. রবিন ও রাফি মোড়লকে গ্রেপ্তার করে।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম জানান, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মামলা রেকর্ড করে ৫ জনকে আটক করা করেছে।