সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের বিষয়ে বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) নেতা ও নওয়াজ শরীফের ভাই শেহবাজ শরীফকে সতর্ক করেছে পাকিস্তান এটর্নি জেনারেল অফিস। শেহবাজ শরীফকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, তিনি যদি তার বড়ভাই নওয়াজ শরীফের চিকিৎসা বিষয়ক নতুন রিপোর্ট ১০ দিনের মধ্যে দিতে ব্যর্থ হন তাহলে আদালত অবমাননার মুখোমুখি হতে হবে তাকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
জাতীয় পরিষদে বিরোধী দলীয় নেতা শেহবাজকে এটর্নি জেনারেল খালিদ জাভেদ খানের নির্দেশনা অনুযায়ী এটর্নি জেনারেল অফিসের সেক্রেটারি খালিদ খান নিয়াজি দুই পৃষ্ঠার চিঠিতে সতর্ক করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, লাহোর হাইকোর্টের আদেশ ও কোর্টের কাছে দেয়া অঙ্গীকার ভঙ্গ করায় আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে এটর্নি জেনারেলের অফিস। এ নিয়ে গত এক পক্ষকালের মধ্যে এটর্নি জেনারেল অফিস থেকে একই বিষয়ে দ্বিতীয় চিঠি পাঠানো হলো। এর আগে ১২ই জানুয়ারি পাঞ্জাব সরকারকে সম্বোধন করে একটি চিঠি লেখা হয়েছিল। তাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা নির্ধারণের জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
শেহবাজ শরীফকে উদ্দেশ্য করে যে চিঠি দেয়া হয়েছে তাতে চিঠি গ্রহণের ১০ দিনের মধ্যে বিশেষ মেডিকেল বোর্ডের দেয়া নওয়াজ শরীফের স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে বলা হয়েছে। এ সম্পর্কে যেসব ডকুমেন্ট এর আগে দেয়া হয়েছে তাতে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ নেই বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে।
জানতে চাওয়া হয়েছে কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডেভিড আর লরেন্সের ইস্যু করা ২৯ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট ২০২২ সালের ১৭ই জানুয়ারি বিশেষ মেডিকেল বোর্ড যাচাই বাছাই করেছে। এতে ওই বোর্ড বলেছে, ডকুমেন্টের মধ্যে নওয়াজ শরীফের বর্তমান ক্লিনিক্যাল অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। নেই রক্ত পরীক্ষা, এক্সরে এবং আরও পরীক্ষার ডকুমেন্ট।
ফলে নওয়াজ শরীফের স্বাস্থ্যগত বিষয়ে, তার ভ্রমণ করার সক্ষমতার বিষয়ে বোর্ড কোনো সুচিন্তিত পরামর্শ বা মতামত দিতে পারেনি। তারা বলেছে, চিকিৎসকের দেয়া বিভিন্ন সময়ের মেডিকেল রিপোর্ট সরবরাহের বাধ্যবাধকতা ছিল নওয়াজ শরীফের। লাহোর হাইকোর্টের কাছে এ বিষয়ে শপথ নিয়েছিল তারা এবং আদালতেরও নির্দেশ ছিল তা-ই। কিন্তু তারা তা দেননি বলে বোর্ড উল্লেখ করেছে। ফলে শেহবাজ শরীফকে বলা হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে আপনি ২০১৯ সালের ১৬ই নভেম্বর লাহোর হাইকোর্টের নির্দেশ এবং শপথ ভঙ্গ করেছেন।