ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলন বন্ধ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ খাবারের ফুডকোর্ট ও টং দোকানসমূহ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নাফিসা আঞ্জুম বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের দোকানগুলো বন্ধ দেখা যায়। দোকানদারগণ প্রশাসনের নির্দেশনার অযুহাত দেখিয়ে দোকান খুলছেন না। আমাদের ধারণা চলমান আন্দোলন বন্ধ করার জন্য এই দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীসহ গণমাধ্যমকর্মীরা এই দোকানগুলো থেকে নিয়মিত খাবারগ্রহণ করতো।
এদিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডের পাশের তিনটি ফুডকোর্ট এবং পরিবহন গ্যারেজের পাশের টং দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই এই খাবারের দোকানগুলো মধ্য রাত পর্যন্ত খোলা থাকতো কিন্তু মঙ্গলবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ রয়েছে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবিরের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায় নি।
এদিকে গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া আমরণ অনশনের আজকে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৪৬ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও কোনো সমাধান না আসায় অনশনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ জন অনশনরতদের মধ্যে ১৯ জনের স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে এবং ৯ জন ক্যাম্পাসে অনশন করছেন।