× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শাবি সংকট সুরাহাতে বিলম্ব কেন?

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ জানুয়ারি ২০২২, বুধবার

দুই সপ্তাহ হয়ে গেল। শুরুটা ছাত্রীদের। দাবি হলো প্রভোস্টের অপসারণ। ভিসির ডাকে পুলিশি অ্যাকশন পরিস্থিতি করেছে জটিল।

অনশন। ঘেরাও। বিক্ষোভ। অনড় দুই পক্ষই। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আলোচনাও কোনো ফল দেয়নি।
অচলাবস্থা নিরসনে এত বিলম্ব কেন হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন বাড়ছে। ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দৃশ্যত তাকিয়ে আছেন সরকারি সিদ্ধান্তের দিকে। তার পদত্যাগ ছাড়া অন্য কোনো সমাধান মানতে রাজি নন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। কয়েকটি বিষয় আলোচিত হচ্ছে। বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি পরখ করা হচ্ছে। অনেকটা টেস্ট কেসের মতো। অন্য ক্যাম্পাসগুলোতে কোনো প্রতিক্রিয়া হয় কিনা সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অতীতে দেখা গেছে, একের পর এক ইস্যু এসেছে। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জোরালো আলোচনার মধ্যেই সামনে এসেছে শাবি সংকট। এখন নতুন কী ইস্যু আসে সেদিকেও খেয়াল রাখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বিভিন্ন ফোরামে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। যে কারণে শিক্ষকদের সংগঠনগুলো দৃশ্যত তার পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। পুরনো রীতি মেনে ষড়যন্ত্রের গন্ধও পাচ্ছেন কেউ কেউ। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। অনশনরত শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ভিসির বাসভবনে বিদ্যুৎ লাইন কাটার পর আবার সংযোগ লেগেছে। চাপ প্রয়োগ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা বিঘ্নিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা এও বলেছেন, যে বিকাশ এবং রকেট নাম্বারে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অর্থ সহযোগিতা করতেন তা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। দুই সাবেক ছাত্রকে তুলে নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শাবিতে সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলন হচ্ছে না। সেখানে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগানও নেই। আন্দোলন হচ্ছে মূলত ভিসির কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হওয়া অবিশ্বাস থেকে, বিস্ময় থেকে। অতীতেও দেখা গেছে, এ ধরনের আন্দোলনে ভিসিরা পদত্যাগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকাণ্ড সচল থেকেছে। ব্যক্তির চেয়ে প্রতিষ্ঠান বড় সব সময় এভাবেই মূল্যায়ন করা হয়েছে। ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ছাড়াও নিশ্চয়ই অনেক দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক রয়েছেন যারা শাবি পরিচালনায় সক্ষম। বর্তমান পরিস্থিতির অবসান প্রয়োজন। প্রয়োজন সমঝোতার, ছাত্র-শিক্ষক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক ফিরিয়ে আনার। এ ব্যাপারে দ্রুতই পদক্ষেপ চান শিক্ষার্থীরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
true
২৬ জানুয়ারি ২০২২, বুধবার, ১২:৩১

শাবি সংকট সুরাহাতে বিলম্ব কারণ সরকার হল ভিসির ব্যাকআপ পাওয়ার। অযুজ্ঞ দলীয় লোকজন দিয়ে দেশ চালানোর উদাহরণ হল এই নির্লজ্জ ভিসি।

অন্যান্য খবর