‘অনেকের কাছে মেসি বড় হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয়, আমিই সেরা’Ñ ২০১৫ সালে স্প্যানিশ পত্রিকা এল পাইসকে কথাগুলো বলেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০১৬ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালে সাংবাদিকের মাইক পানিতে ছুঁড়ে মেরে বিতর্কের সৃষ্টি করেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। এমন আরো কিছু ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং দাম্ভিকতার ঘটনায় সময়ে সময়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন সিআরসেভেন। ঘটনাগুলো রোনালদোর অহংবোধের পরিচয় বহন করলেও জর্জিনিয়ো চিয়েল্লিনির মতে তারকাখ্যাতির দম্ভ নেই তার।
রোনালদোর কিছু বদনাম ফুটবল অঙ্গনে শোনা যায়। তিনি নাকি বেশ দাম্ভিক। নিজের তারকাখ্যাতি নিয়ে সব সময়ই খুব সচেতন থাকেন। তিনি যতটা না দলীয় খেলোয়াড়, তার চেয়ে বেশি নিজের জন্য খেলেন! চিয়েল্লিনি বলেন, ‘সে যখন দলের অংশ হয়ে গেল, তার আচরণ খুবই স্বাভাবিক ছিল এবং সবার সঙ্গে খুব ভালো করেই মানিয়ে নিল।’ ২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দেন রোনালদো।
তুরিনের ক্লাবটিতে পর্তুগাল অধিনায়ক তিন মৌসুম খেলেন।
সাবেক সতীর্থ রোনালদোকে নিয়ে জুভেন্টাস তারকা চিয়েল্লিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে তার আচরণে এমন ছাপ ছিল না যে সে একজন মহাতারকা। আপনি তার সঙ্গে মজাও করতে পারবেন।’
ক’দিন আগে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক গোলকিপার জর্জি দুদেকের কণ্ঠেও একই সুর শোনা যায়। দুদেকের মতে, রোনালদোকে দাম্ভিক মনে হলেও আদতে তা নয়। দুদেক বলেছিলেন, ‘রোনালদোকে এমনিতে দেখলে দাম্ভিক মনে হয়। কিন্তু সে পর্দার আড়ালে একজন সাধারণ মানুষ। বিষয় হচ্ছে মানুষ তাকে কীভাবে উপলব্ধি করে। রাউলের মতো সেও আত্মকেন্দ্রিক। মাঠে দারুণ লড়াই করতে পারে। তার চোখেমুখে জয়ের নেশা।’
সাবেক সতীর্থের প্রশংসা করলেও দুদেক কড়া সমালোচনা করেন লিওনেল মেসির। দুদেকের মতে, লিওনেল মেসি ভদ্রবেশী অসভ্য।