কার্ডের খড়গে শুরুতেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় কেপ ভার্দে। দ্বিতীয়ার্ধে ভোজিনহার আক্রমণে মাথায় আঘাত পান সেনেগাল স্ট্রাইকার সাদিও মানে। কেপ ভার্দে গোলরক্ষককে লাল কার্ড দেখান রেফারি। গুরুতর চোটে ৯০ মিনিট না খেলেই মাঠ ত্যাগ করেন মানে, ভর্তি হন হাসপাতালে। তবে মাঠ ছাড়ার আগে চোট নিয়েই সেনেগালকে লিড এনে দেন তিনি। আর আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের (আফকন) ম্যাচে ৯ জনের কেপ ভার্দেকে সহজেই হারায় সেনেগাল। ২-০ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে মানেরা।
৫৪ মিনিটের খেলা চলছে। সেনেগাল গোলকিপার এডওয়ার্ড মেন্ডির লম্বা কিকে কেপ ভার্দের বক্সের সামনে বল পান মানে।
প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ভোজিনহা সম্ভাব্য বিপদ ঠেকাতে ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে আসেন, বলের দখল কেউ নিতে পারেননি। ভোজিনহা প্রচণ্ড গতিতে ছুটে আসায় মাথায় সংঘর্ষ হয় মানের সঙ্গে। সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়েন দুজনে। চিকিৎসকেরা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেন দুজনকে। এরপর ভিএআরের মাধ্যমে ভোজিনহাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
দুজন কম নিয়ে বাকিটা সময় খেলা কেপ ভার্দের ওপর চাপ বাড়ায় সেনেগাল। ৬৩তম মিনিটে মানের গোলেই এগিয়ে যায় দলটি। তবে গোল করার পর বেশিক্ষণ মাঠে স্থায়ী হতে পারেননি মানে। ৭০তম মিনিটে মাঠেই বসে পড়েন মাথা ঘুরিয়ে। এরপর মাঠ থেকে উঠিয়ে নেয়া হয় লিভারপুল তারকাকে। ইনজুরি টাইমে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন বাম্বা দিয়েং।
মানেকে মাঠ থেকে তুলে নেয়া প্রসঙ্গে সেনেগাল কোচ আলিউ সিসে বলেন, ‘সে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে চলে গিয়েছিল। মাথা ঘোরায় মাঠ থেকে তুলে নেয়া হয় তাকে।’ ম্যাচ শেষে মানেকে দেখতে হাসপাতালে যান কেপ ভার্দে গোলরক্ষক ভোজিনহা।
রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচজুড়ে ছিল সেনেগালের আধিপত্য। ৬৪ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে ১৬টি শট নেয় সেনেগাল। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৪টি। অপরদিকে ৩৬ শতাংশ বল দখলে রাখা কেপ ভার্দে ২টি শটের একটি লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ্য হয়। আগামী ৩১শে জানুয়ারি সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে সেনেগাল।
শেষ ষোলোর আরেক ম্যাচে মালাউয়িকে ২-১ গোলে হারায় মরক্কো। ৩০শে জানুয়ারি সেমিতে পৌঁছার লড়াইয়ে নামবে দলটি।