‘নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্টের’ মাধ্যমে ভ্যাকসিন কেনার কারণে অর্থ খরচের হিসাব জাতীয় সংসদে প্রকাশ করা সমীচীন হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান। লিখিত প্রশ্নে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, করোনাভাইরাসের কতোগুলো টিকা কেনা হয়েছে এবং এতে কতো টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি জানান, চীন, ভারত ও কোভ্যাক্স হতে সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত এবং অর্থ বিভাগ, সিসিজিপি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। নন-ক্লোজার এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে ভ্যাকসিন কেনার কারণে সংসদে অর্থ খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না। খরচের হিসাব না দিলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, গত ১৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ২১ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার টিকা সংগ্রহ করেছে। এরমধ্যে কোভ্যাক্সের আওতায় দুই কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার সিনোফার্ম, চীন থেকে ৭ কোটি ৭০ লাখ সিনোফার্ম ও সাত কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার সিনোভ্যাকসহ মোট ১৫ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ডোজ এবং ভারত থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। সরকারি দলের সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশে ১৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত আট কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৬ জন করোনা টিকা নিতে নাম লিখিয়েছেন।
এ সময়ে ৯ কোটি তিন লাখ ৯১ হাজার ৮৩৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং পাঁচ কোটি ৭৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে। সাত লাখ ৯৭ হাজার ৯০০ জনকে বুস্টার ডোজসহ সর্বমোট ১৪ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৭৬ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক না থাকায় রেজিস্ট্রেশনের চেয়ে টিকা প্রদান বেশি হয়েছে।