বিশ্বজমিন

ফুকুশিমা পারমাণবিক বিপর্যয়: মামলা করলেন ক্যান্সার আক্রান্ত ৬ জাপানি

মানবজমিন ডেস্ক

২০২২-০১-২৭

ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের প্লান্ট অপারেটর কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছে থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত ৬ জাপানি। তাদের দাবি, ২০১১ সালে ওই প্লান্টে যে পরমাণু দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তার রেডিয়েশনের কারণেই তারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই দুর্ঘটনার সময় অভিযোগকারীদের বয়স ছিল ৬ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। ক্যান্সার থেকে বাঁচতে তাদের সবাইকে সার্জারি করতে হয়েছে, কারো কারো থাইরয়েড গ্রন্থি ফেলে দিতে হয়েছে।
তবে বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, ফুকুসিমার রেডিয়েশনের কারণেই তারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন এটি প্রমাণ করা সহজ হবে না। ওই প্লান্টের অপারেটর টোকিও ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কোম্পানি বা টেপকোর বিরুদ্ধে ৫.৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছে ওই ব্যাক্তিরা। টেপকোর মুখপাত্র জানিয়েছেন, মামলার বিষয়টি তারা শুনেছেন। তবে এখনো অভিযোগের বিস্তারিত নথিপত্র হাতে পাননি তারা।
ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু দুর্ঘটনা হল ভূমিকম্প ও সুনামির ফলে জাপানে ঘটা বৃহৎ পরমাণবিক বিপর্যয়। ২০১১ সালে দেশটির ওকুমায় অবস্থিত ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রর ছয়টি চুল্লীর দু’টিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে চারদিকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ছড়িয়ে পরলে নিকটবর্তী অঞ্চলের বহু বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির আশেপাশে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের মাত্রা প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ মিলিসিভার্টে পৌঁছে যায়। বলা হয়ে থাকে, ১৯৮৬ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিলের পর এটিই সবথেকে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status