বিগত পাঁচ বছরে এনজিও’র ২২৮টি নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি আরও জানান, শর্ত লঙ্ঘনসহ নানা কারণে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। বর্তমানে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অধীন নিবন্ধিত এনজিও’র সংখ্যা বিদেশি ২৬০টি এবং দেশীয় ২২৬৬টিসহ মোট দুই হাজার ৫২৬টি। বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবা মূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন, ২০১৬-এর ১৪ ধারা অনুযায়ী, কোনো এনজিও বা এনজিওতে কর্মরত ব্যক্তি এই আইন ও বিধি লঙ্ঘন করলে এবং সংবিধান এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক ও অশালীন কোনো মন্তব্য করলে বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করলে বা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন, পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা সহায়তা করলে অথবা নারী ও শিশু পাচার বা মাদক ও অস্ত্রোপচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে দেশে প্রচলিত আইনের আওতায় অপরাধ বলে গণ্য হয় এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মোজাম্মেল হক জানান, প্রকল্পের নাম, প্রকল্পের মেয়াদকাল, টাকার পরিমাণ, প্রকল্প অনুমোদনের তারিখ, প্রকল্পের উদ্দেশ্য, প্রকল্প এলাকার সংশ্লিষ্ট তথ্য, জেলা বা উপজেলায় প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ, বহুবর্ষী প্রকল্পের ক্ষেত্রে আলোচ্য বর্ষে বরাদ্দ, আলোচ্য বর্ষে প্রকৃত ব্যয়, প্রকল্পে উপকারভোগীর সংখ্যা, উপকারভোগী নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে কিনা, হয়ে থাকলে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণী এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অনুমোদিত পত্রের শর্তাদি যথাযথভাবে প্রতিপালিত হয়েছে কিনা এ বিষয়গুলো মনিটরিং করা হয়। একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবা মূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন, ২০১৬ অনুসারে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কোনো ব্যক্তি এবং এনজিও কর্তৃক পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবা মূলক কার্যক্রম মনিটরিং করে থাকে। এই আইন অনুযায়ী ব্যুরো মনিটরিং কমিটি গঠন করতে পারে এবং প্রয়োজনে বহিঃপর্যবেক্ষণকারী নিয়োগ করতে পারে। এ ছাড়াও জেলায় জেলায় প্রশাসক এবং ক্ষেত্র মতে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাদের নিজ নিজ এলাকায় এনজিও পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবা মূলক কার্যক্রম ও এর অগ্রগতি প্রতি মাসে সমন্বয় সভার মাধ্যমে পর্যালোচনা করে থাকেন।।