ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন মুশফিকুর রহীম। খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক খেললেন ৪৪ রানের হার না মানা ইনিংস। ফিফটি এলো আন্দ্রে ফ্লেচারের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে সেকুগে প্রসন্নের ১৫ বলে ২৩ রানের ইনিংসে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারালো খুলনা।
বিপিএলের নবম ম্যচে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় খুলনা। তিন ম্যাচে এটি খুলনার দ্বিতীয় জয়। আর চার ম্যাচে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় হার।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২ রানেই সৌম্য সরকারকে হারায় খুলনা। শরীফুল ইসলামের বলে বেনি হাওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। ৩ বলে তার সংগ্রহ ১ রান। এরপর রনি তালুকদারের সঙ্গে জুটি গড়েন আন্দ্রে ফ্লেচার। তাদের কল্যাণে পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান সংগ্রহ করে খুলনা। অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়ে এ জুটি ভাঙেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। রনি তালুকদারকে সাজঘরে ফেরান তিনি। ১৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৭ রান করেন রনি।
তবে ওপেনার ফ্লেচার খেলছিলেন দেখেশুনেই। মুশফিকের সঙ্গে আরেকটি জুটিতে খুলনাকে ভাল অবস্থানে নিয়ে যান এই ক্যারিবিয়ান ওপেনার। দলীয় ৯৮ রানে আউট হন তিনি। ৪৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ রান করে মিরাজের শিকারে পরিণত হন ফ্লেচার। তার বিদায়ের পর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন মুশফিক। প্রসন্নের সঙ্গে মাত্র ২৬ বলেই ৪৫ রান তুলে খুলনার সমীকরণ সহজ করে দেন মুশি। ১৫ বলে এক বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ২৩ রান করে যখন আউট হন প্রসন্ন, জয়ের জন্য তখন মাত্র ১ রান প্রয়োজন খুলনার। মুশফিক ৩০ বলে ৪৪ রান করে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। ইনিংসটি সাজান ৪ চার ও এক ছক্কায়।
চট্টগ্রামের হয়ে ২৪ রানে ২ উইকেট নেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। এছাড়া শরীফুল ৩২ রানে ১টি এবং নাসুম ২৬ রানে নেন ১ উইকেট।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বাজে শুরু করে চট্টগ্রাম। দলীয় ৩ রানে ফেরেন ওপেনার কেনার লুইস (১)। শুরুর ধাক্কা সামলে উইল জ্যাকস ও আফিফ হোসেন মিলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। জ্যাকস ২৮ রানে আউট হলে ভাঙে জুটি। দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন আফিফ। ফরহাদ রেজার বলে আউট হওয়ার আগে আফিফ ৩৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কা হাঁকান। এছাড়া নাঈম ইসলাম ১৯ বলে ২৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। খুলনার থিসারা পেরেরা ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন কামরুল ইসলাম, নাবিল সামাদ, মেহেদী হাসান, সেকুগে প্রসন্ন ও ফরহাদ রেজা।