× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না রাশিয়া, সরাসরি জানিয়ে দিলেন ল্যাভরভ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(২ বছর আগে) জানুয়ারি ২৮, ২০২২, শুক্রবার, ৭:৪৭ অপরাহ্ন

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না রাশিয়া। শুক্রবার সরাসরি নিজেদের এই যুদ্ধবিরোধী অবস্থানের কথা জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। রাশিয়ার এ অবস্থানকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার নিদর্শন হিসাবে দেখছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। এক সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি এটি রাশিয়ার উপরে নির্ভর করে তাহলে কোনো ধরনের যুদ্ধ হচ্ছে না। আমরা যুদ্ধ চাই না। তবে একইসঙ্গে আমরা আমাদের স্বার্থের বিষয়ে ছাড় দেবনা, অবহেলিত হতে দেখবো না। এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
গত বছর ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া। দেশটি দাবি করে আসছে, পূর্ব ইউরোপে সামরিক জোট ন্যাটোর কার্যক্রম বৃদ্ধি তার জন্য বড় হুমকি।
অপরদিকে রাশিয়ার এই সেনা মোতায়েনকে ইউক্রেনে হামলার পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে দেখছে পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়াকে হুশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালালে দেশটির বিরুদ্ধে কঠিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে তখন রাশিয়ার তরফ থেকে তার দাবিগুলো তুলে ধরা হয়। এর প্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এই জবাবের পরই যুদ্ধ নিয়ে নমনীয় হতে দেখা গেলো রাশিয়াকে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার স্বার্থের বিষয়ে উদাসীন। তবে ব্লিনকেনের চিঠিতে ভাল কিছু লেখা হয়েছে। এই চিঠি এখনো প্রকাশ্যে আনেনি কোনো পক্ষই। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও ভরসা বৃদ্ধিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। যদিও ইউক্রেনকে ভবিষ্যতে ন্যাটো সদস্য করার যে বিরোধীতা রাশিয়া করে আসছিল তা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ল্যাভরভ জানিয়েছেন, তিনি সামনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আবারো সাক্ষাতের আশা করছেন। চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু না বললেও ল্যাভরভ বলেন, ন্যাটোর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব তাদের বেশি পছন্দ হয়েছে। রাশিয়া এ নিয়ে বিস্তর চিন্তা করছে এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নির্ধারণ করবেন কীভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
যদিও একদিন আগেই পার্লামেন্টে ল্যাভরভ বলেছিলেন, নিজের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষায় রাশিয়া প্রস্তুত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি নিয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মস্কো যেকোনো পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত রেখেছে। রাশিয়া নিজের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষ দুমায় দেয়া এক বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোকে যুদ্ধের নেশায় পেয়ে বসেছে। তবে রাশিয়া নিজেকে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত রেখেছে। আমরা সেরা উপায়ে নিজের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষা করবো। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি হুমকি দিয়ে বলেছে, রাশিয়া ইউক্রেনের ভূমিতে হামলা চালালে মস্কোর জন্য ‘কঠোরতম অর্থনৈতিক জবাব অপেক্ষা করছে। এমন হুমকির প্রেক্ষিতেই এই বক্তব্য দিলেন ল্যাভরভ। সম্প্রতি ব্রাসেলসে ২৭ জাতির ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনেও সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয়ে যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে এসব দেশের সুনির্দিষ্ট কিছু নিষেধাজ্ঞা আরো ছয় মাসের জন্য নবায়ন করা হবে। একইসঙ্গে ইউরোপীয় নেতারা মিনস্ক চুক্তি মেনে চলার জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে রাশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে।
রাশিয়া অবশ্য প্রথম থেকেই ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে আসছিল। তারপরেও শুক্রবারই ইউক্রেন সংকট নিয়ে রাশিয়ার সবথেকে নমনীয় অবস্থান দেখা গেছে। তিন দশক আগে শেষ হওয়া স্নায়ু যুদ্ধের পর এবারই এ অঞ্চলে সবথেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে যুক্ত হয়েছে প্রতিবেশি দেশগুলোও। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো শুক্রবার জানান, যুদ্ধের বিষয়ে তার কোনো আগ্রহ নেই যদি না রাশিয়া ও বেলারুশ আক্রান্ত না হয়। দেশটি এ অঞ্চলে রাশিয়ার সবথেকে বড় মিত্র। সম্প্রতি যৌথ সামরিক মহড়াও চালিয়েছে রাশিয়া ও বেলারুশ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর