× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এডিআরএস-এ ব্যর্থ খুলনা, সফলও খুলনা

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২৯ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার

ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) ছাড়া টুর্নামেন্ট শুরু করায় সমালোচনা সইতে হয়েছে বিপিএল আয়োজকদের। কোনোরকম রাখঢাক ছাড়াই নিজেদের ব্যর্থতার কথাও স্বীকার করে নিয়েছিলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। তবে ভুলের পরিমাণ কমিয়ে আনতে বিকল্প এক ব্যবস্থা এনেছে বিসিবি। বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব থেকে শুরু করা এই ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে এডিআরএস তথা অল্টারনেটিভ ডিআরএস। গতানুগতিক ডিআরএস’র বিকল্প হিসেবে এই এডিআরএস ব্যবহারের জন্য সম্মত হয়েছে অংশগ্রহণকারী ছয় দল। যেখানে থার্ড আম্পায়ারের কাছে থাকা সকল অ্যাকশন রিপ্লেই ব্যবহার করা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য। এই এডিআরএস ব্যবহার করে প্রথম ম্যাচটি হয়েছে খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মধ্যে। যেখানে প্রথম ব্যর্থ পরে সফল হয়েছে খুলনা টাইগার্স।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে সফলভাবে এডিআরএসের ব্যবহার করেছে মুশফিকের দল। টস হেরে আগে ব্যাট করা চট্টগ্রামের ইনিংসের ১৯তম ওভারে গিয়ে প্রথমবারের মতো দেখা মেলে এডিআরএসের। ফরহাদ রেজার করা অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে রিভার্স সুইপ খেলেছিলেন নাইম ইসলাম। বল তার ব্যাটে না লেগে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকের গ্লাভসে। খুলনার কট বিহাইন্ড আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। এ সিদ্ধান্তে সংশয় থাকায় এডিআরএস ডাকেন মুশফিক। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভিন্ন ভিন্ন অ্যাঙ্গেলে স্লো মোশন রিপ্লে দেখে টিভি আম্পায়ার শরফৌদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকত নিশ্চিত হন বলটি নাইমের ব্যাটে লাগেনি। তাই বহাল থাকে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত, এডিআরএস নিয়ে ব্যর্থ হয় খুলনা। একই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের অষ্টম ওভারের ঘটনা। এবার চট্টগ্রামের বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের বলে খুলনার টপঅর্ডার ব্যাটার রনি তালুকদারকে লেগ বিফোর আউট দেন মাঠের আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে এডিআরএস নেন রনি। রিপ্লেতে দেখা যায় প্যাডে আঘাত হানার আগে স্পষ্ট ব্যাটে লেগেছিল নাসুমের সেই বল। ফলে এডিআরএসের সফল ব্যবহার করে নিজের উইকেট বাঁচিয়ে নেন রনি। এই ম্যাচে এডিআরএসের দেখা মিলেছে আরও একবার।
খুলনার ইনিংসের ১৮তম ওভারে রেজাউর রহমান রাজার বলে বড় শটের চেষ্টা করেছিলেন সেকুগে প্রসন্না। বল তার ব্যাটের ওপর দিয়ে গিয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক কেনার লুইসের গ্লাভসে। কট বিহাইন্ডের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে এডিআরএস নেয় চট্টগ্রাম। কিন্তু সেটিতে সফলতা পায়নি তারা। উল্লেখ্য, প্রতি ইনিংসে একটি দল দুইবার করে ব্যর্থ এডিআরএস নিতে পারবে। অর্থাৎ এডিআরএস নিয়ে সফল হলে তাদের এডিআরএস কমবে না। কিন্তু ব্যর্থ হলে দুইটির বেশি নেওয়া যাবে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর