ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের (ডিবিবিএল) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি শাখায় ওয়ালটন গ্রুপের অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে ৬ কোটি টাকা রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) পদ্ধতিতে ট্রান্সফারের একটি আবেদন আসে। গত ২৫শে জানুয়ারি ওই আবেদনটি করা হয়। আবেদনে টাকা ট্রান্সফারের জন্য বিডি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের এবি ব্যাংকের মতিঝিল শাখার হিসাবের কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু টাকা ট্রান্সফারের এই আবেদনটি অনেকটা অস্বাভাবিক মনে হয় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে। তাই তিনি ওয়ালটন গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে ওয়ালটন গ্রুপ খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে এ রকম অ্যামাউন্টের কোনা টাকা ট্রান্সফার গ্রুপের পক্ষ থেকে করা যয়নি। পরে শাখা ব্যবস্থাপক ওই আবেদনটি স্থগিত করেন।
এদিকে ২৭শে জানুয়ারি ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় ভাটারা থানায়।
অভিযোগের পরপরই তদন্তে নামে থানা পুলিশ। তদন্তে বের হয়ে আসে বড় ধরনের একটি প্রতারক চক্রের সন্ধান। যে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব টার্গেট করে আরটিজিএস পদ্ধতিতে টাকা ট্রান্সফার করে আসছিল। চক্রে খোদ ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জড়িত থাকার সম্পৃক্ততা পায় ভাটারা পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ এই ব্যাংক কর্মকর্তাসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. জাকির হোসেন (৩৫), ইয়াসিন আলী (৩৪), মাহবুব ইশতিয়াক ভূঁইয়া (৩৫), আনিছুর রহমান ওরফে সোহান (৪২), মো. দুলাল হোসাইন (৩৫), মো. আসলাম (৫৩), আব্দুর রাজ্জাক (৪৮), জাকির হোসেন (৪৪), মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া (৫৬) ও মো. নজরুল ইসলাম (৫০)। এদের মধ্যে জাকির হোসেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখায় এসএমই সেলস টিম ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত। তিনিই এই চক্রের মূলহোতা। গতকাল ডিএমপির গুলশান ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, জাকির হোসেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে চাকরি করার সুবাদে ব্যাংকের সার্ভার থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি বা বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করতেন। যেসব অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমাণ বেশি থাকতো তাদের ব্যাংক হিসাবের স্বাক্ষর জাল করে আরটিজিএসের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফারের পরিকল্পনা করতেন। ওয়ালটন গ্রুপের টাকা ট্রান্সফারের আবেদনটি আসার পর ব্যবস্থাপকের মনে সন্দেহ জাগে। পরে তিনি তখন ওয়ালটন গ্রুপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওয়ালটনের কর্মকর্তারা ব্যাংকে গিয়ে বিষয়টি যাচাই করেন। সেখানে গিয়ে তারা বুঝতে পারেন এখানে প্রতারক চক্রের হাত রয়েছে। এরপর টাকা ট্রান্সফারের আবেদনটি স্থগিত করা হয়। তিনি বলেন, আমরা এই প্রতারক চক্রের ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। চক্রটির কার্যক্রম ব্যাংকের ভেতর থেকে শুরু হয়। এর বাইরে চক্রটির সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে। আমরা যখন তাদের গ্রেপ্তার করতে যাই তখন তারা ইউনাইটেড গ্রুপের অ্যাকাউন্ট থেকে ১২ কোটি টাকা ট্রান্সফারের চেষ্টা করছিল।
আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ডিবিবিএলের সার্ভার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করছিল। জাকির হোসেন প্রথমে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের তথ্য নিয়ে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন। পরে ইয়াসিন আলীকে স্বাক্ষর জালিয়াতির কাজ দেন। ইয়াসিন আলী স্বাক্ষর জাল করে মাহবুব ইশতিয়াক ভূঁইয়ার পরিচালিত অ্যাকাউন্ট এনআই করপোরেশন, বিডি লি. নামে এবি ব্যাংকের মতিঝিল শাখা অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করে জাল ব্যাংক দলিল তৈরি করে। পরে তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অন্যান্য আসামিদের ঠিক করে। যেই শাখায় টাকা ট্রান্সফারের আবেদনটি জমা পড়বে, সেই শাখার ব্যবস্থাপককে তাদের পক্ষে আনার জন্য বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে তারা ম্যানেজ করে। সংবাদ সম্মেলনে গুলশানের ডিসি আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। চক্রটি এ রকম জালিয়াতি আরও করেছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওয়ালটন গ্রুপের টাকা তারা ট্রান্সফার করার চেষ্টা করছিল। এছাড়া গ্রেপ্তারের আগে তারা ইউনাইটেড গ্রুপের ১২ কোটি টাকা ট্রান্সফারের চেষ্টা করছিল। এর আগে তারা এ রকম ট্রান্সফার করেছে কি-না এখনি বলা যাচ্ছেনা। ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কী ধরনের অ্যাকাউন্ট তারা টার্গেট করতো এমন প্রশ্নে ডিসি বলেন, মূলত বাংলাদেশের বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিক বা গ্রুপের অ্যাকাউন্ট টার্গেট করে তারা। এমন প্রতিষ্ঠানকে তারা টার্গেট করে যেখান থেকে অ্যামাউন্ট ট্রান্সফার হলে যেন দ্রুত বুঝতে না পারে। কেননা বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিশাল অংকের টাকা থাকে।
মোঃমিরন তালুকদার
২৮ জানুয়ারি ২০২২, শুক্রবার, ১০:৫৬মেসার্স আমিন এনটারপ্রাইজ মদন নেএকোনা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড নেএকোনা আমার হিসাবে নং 546 চলতি হতে 6600000 লক্ষ্য টাকা আত্মসাত করছে ম্যানেজার রুহুল আমিন ও বিনিয়োগ অফিস শফিকুল আমার রোড এক্সছিটেন দুটি হাত বাংগিয়া যায় সাদা চেক ও ঢিল পাতা সাক্ষর নিয়ে ছিল আমার সাক্ষর ছিল টাকা আত্মসাত করছে ম্যানেজার রুহুল আমিন ও বিনিয়োগ অফিস শফিকুল আমার এস এম ই ঋণের টাকা উদ্ধার করে দিতে পারেন দয়া করে আমার সিকিউরিটি চেক দিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে ও কি করে বাছতে পারি সহযোগিতা করতে পারবেন আমি অসহায় ম্যানেজার রুহুল আমিন ও বিনিয়োগ অফিস শফিকুল ঐ টাকা আত্মসাত করছে তাঁরা বাড়ি নির্মাণ করছে আমাকে সাক্ষর নিয়ে বাংলাদেশ বাংক সত্যি কথা বলতে সত্ অফিস আমার এস এম ই ঋণের টাকা উদ্ধার করে দিতে পারেন দয়া করে ও নিরীহ মানুষকে উপকৃত হবো আমার ফাইটার তদন্ত করে দেখার জন্য অনুরোধ করছি ও সঠিক বিচার করত সহযোগিতা করতে পারবেন?