× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সজলের শরীরে ৮৩টি স্প্লিন্টার

শেষের পাতা

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
২৯ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার

সজল কুণ্ডের শরীরে ৮৩টি স্প্লিন্টার। ঝাঁজরা হয়ে গেছে শরীরের অনেক অংশ। বেঁচে গেছেন সজল। সিলেটেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই অবস্থায় সজলের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সজলকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করা হবে। একইসঙ্গে অনশনে গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন যারা তাদেরও প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হবে। গতকাল বিকালে শাবি ক্যাম্পাসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীদের তরফ থেকে এ কথা জানানো হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সজল কুণ্ড হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে সজল পরিচিত। তবে সব শিক্ষার্থীর কাছে রয়েছে ভালো পরিচিতি। শিক্ষকরাও সজলকে ভালোবাসেন। আইসিটি ভবনের নিচতলায় রয়েছে সজলের একটি ক্যাফেটেরিয়া। এটি পরিচালনা করেন তিনি। এ জন্য সবার সঙ্গে সজলের পরিচিতি ভালো। ঘটনার দিন ১৬ই জানুয়ারি নিজের প্রতিষ্ঠানেই বসা ছিলেন সজল। পুলিশ ধাওয়া করায় শিক্ষার্থীরা তার দোকানে এসে আশ্রয় নেন। এর মধ্যে অনেক মেয়ে শিক্ষার্থীও ছিলেন। এ সময় পুলিশ এসে পড়লে এগিয়ে যান সজল। এরপর পুলিশের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতের ঝাঝরা হয়ে যায় সজলের শরীর। তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থীরাই তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখনো হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতে হচ্ছে সজলকে। হাসপাতাল থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তার ওপর হামলার ঘটনাকালীন সময় কী ঘটেছিল সেটিও বর্ণনা করেছেন। বুধবার অনশন ভাঙানোর দিন হুইল চেয়ারে সজল ছিলেন অনশনস্থলে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা সজল কুণ্ডকে দেখে এসেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ সিনিয়র নেতারাও। ২৮ জন শিক্ষার্থী অনশনে ছিলেন। অনশন ভাঙার পর চিকিৎসাসেবা নিয়ে অনেকেই বাড়ি গেছেন। কেউ কেউ ক্যাম্পাসেই রয়েছেন। তবে রাসেল নামের একজন শিক্ষার্থী এখনো হাসপাতালে ভর্তি। তার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। গতকাল বিকালে ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল বাশার রাজ জানিয়েছেন- সজল কুণ্ড সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরপর ক্যাম্পাসে ফিরেছিলেন। বর্তমানে তিনি বাসাতেই রয়েছেন। তার শরীরে প্রায় ৮৩টি স্প্লিন্টারের আঘাত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় সজল কুণ্ডকে খুব দ্রুতই ঢাকায় পাঠানো হবে। তিনি জানান, ভিসির নির্দেশে পুলিশ ওইদিন বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছিল; আর সজল কুণ্ড হচ্ছে তার প্রমাণ। শিক্ষার্থীরা নিরস্ত্র অবস্থায় ছিলেন। আর পুলিশ ছিল সশস্ত্র। গতকাল বিকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল বাশার রাজ ও শামিউল এহসান শাফিন। প্রেস ব্রিফিং থেকে তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সজল কুণ্ডের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনায় শিক্ষামন্ত্রী আমাদের মূল দাবিসহ অন্যান্য দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা সকল শিক্ষার্থী প্র্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ তারা বলেন, ‘শাবি’ব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে ক্যাম্পাসে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করায় শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা তাকে জানাতে চাই; আমরা তার সঙ্গে আমাদের দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। একই সঙ্গে আমরা এও আশা করছি যে, ইতিমধ্যে আমাদের মূল দাবিসহ অন্যান্য ব্যাপারে যে সমস্ত আশ্বাস দেয়া হয়েছে সেগুলোও দ্রুত পূরণ করা হবে।’ এদিকে ছাত্র বিক্ষোভ ও অনশনে উত্তাল ক্যাম্পাস এখন শান্ত। হলে যারা আছেন তারা ভিসির পদত্যাগ দাবিতে প্রতিদিনই অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা এরই মধ্যে ভিসির বাসভবনের সামনেও স্লোগান সংবলিত আল্পনা আঁকিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
পাঠকের মতামত
**মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।
Borno bidyan
৩০ জানুয়ারি ২০২২, রবিবার, ৬:৫৬

সেদিন যদি পুলিশ ঐভাবে হামলা না চালাতো তবে ভিসিসহ এই সরকারের কি পতন হয়ে যেত? শান্তি প্রিয় জনগনের প্রতি শক্তি প্রয়োগের এই স্পর্ধা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পায় কোত্থেকে? অথচ সীমান্তে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা ও কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ!

Kazi
২৮ জানুয়ারি ২০২২, শুক্রবার, ২:৫৭

পুলিশ বাড়াবাড়ি করেছে সন্দেহ নাই। পুলিশকে গভীর ভাবে চিন্তা ভাবনা করে জড়িত হওয়া উচিত ছিল বিশেষ করে ছাত্রদের অহিংস অনশন ধর্মঘটে ।

অন্যান্য খবর