অনলাইন

নেশা করতে বাধা দেয়ায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীকে হত্যা

নরসিংদী প্রতিনিধি

২০২২-০১-২৯

নরসিংদীতে নেশা করতে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী। গত রাত ৩টার দিকে নরসিংদীর উপ-শহর হাজিপুরের চকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাষণ্ড স্বামী সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত সুবর্ণা আক্তার (২১) হাজীপুর বেঙ্গল এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মিয়া স্থানীয় বাজারে হলুদ মরিচ এর দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রায় ৩ বছর আগে হাজীপুর বেঙ্গল শফিকুল ইসলামের মেয়ে সুবর্ণা আক্তারের সাথে সোহেল মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই যৌতুক ও নেশার টাকা যোগার করে দেয়ার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। এরই জের ধরে সুবর্ণা কয়েক দফায় বাবার বাড়ি চলে যেতো। সর্বশেষ গত শুক্রবার দুপুরে সুবর্ণাকে তার বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসে স্বামী সোহেল মিয়া। কিন্তু দিন পার হতে না হতেই পুনরায় ঝগড়া শুরু হয়।

রাত ২ টার দিকে স্বামী সোহেল মিয়াকে নেশা করতে বাধা দেন তার স্ত্রী। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সোহেল মিয়া হাতুড়ি ও রেঞ্জ দিয়ে তার স্ত্রীর মাথায় ও মুখন্ডলে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। এর এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে তার পেটে আঘাত করে। রাত ৩টার দিকে সুবর্ণার বাড়িওয়ালার স্ত্রী বের হয়ে সুবর্ণাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ নিহতের স্বামী সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
নিহতের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, তার মেয়ের জামাতা নেশাগ্রস্ত ছিলো সেটা আমরা জানতাম না। দুদিন পর পর সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকতো। পরে মিলিয়ে দিতাম। বিয়ের পর থেকে এভাবেই চলছিলো । আমি গরিব। পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাই। এর মধ্যে যতটুকু সম্ভব টাকা দিয়ে জামাইয়ের চাহিদা মিটাতাম। কিন্তু সব সময় পেরে উঠতাম না। তাই বলে সে আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলবে। আমি তার বিচার চাই।

নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যের কারন জানতে অনুসন্ধান চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে বনিবনা হতো না।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status