কোভিড-১৯ মহামারীর পঞ্চম তরঙ্গ (ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট) সারা বিশ্বে মানুষের জীবনকে বিপন্ন করছে। কে জানত এই উন্নত যুগে এসেও আমরা এমন ভয়ানক মহামারীর মুখোমুখি হব?কেউ প্রস্তুত ছিল না। মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং লকডাউন এই শব্দগুলি কোনো কাহিনীর প্লট বলে মনে হলেও সেগুলি আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। যতক্ষণ না SARS-CoV-2 ভাইরাস এবং কীভাবে এটিকে নিশ্চিহ্ন করা যায় সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত গবেষণা সামনে আসছে ততদিন এটিকে সঙ্গে করেই আমাদের বাঁচতে হবে এবং নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই নিতে হবে। তবে এটা প্রথমবার নয় যে আমাদের বিশ্ব এতো বড় মহামারী দেখেছে।
অতীতে অনেক মহামারী এবং অতিমারী হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলি সমগ্র সভ্যতাকে ধ্বংস করেছে এবং এমনকি শক্তিশালী জাতিগুলিকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে। এই ভয়ানক রোগের প্রাদুর্ভাব এখনও মানবতাকে হুমকির মুখেই ফেলেছে , তবে সেই সঙ্গে মহামারীবিদ্যা সম্পর্কে আমরা আরো অগ্রগতি করেছি। আমরা আশাবাদী যে শিগগিরই বর্তমান মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের মতো একই ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে না।
প্রাগৈতিহাসিক মহামারীপ্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে, একটি মহামারী চীনের এক গ্রামে আঘাত করেছিল এবং পুরো গ্রামটিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল।
সাইটটি অন্বেষণ করার সময়, গবেষকরা একটি বাড়ির ভিতরে মৃতদেহ দেখতে পান যা পরে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। এই প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব সম্পন্ন স্থানটির নাম ‘হামিন মংঘা’।প্রত্নতাত্ত্বিক এবং নৃতাত্ত্বিকদের গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে মহামারীটি এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল যে মৃত মানুষদের যথাযথ কবর দেওয়ার সময় ছিল না, তাই দেহগুলিকে কোনো বাড়িতে রেখে পুড়িয়ে দেয়া হত। এই এলাকায় আর কেউ বাস করতো না। তীব্র সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবের কারণে মৃত্যু হয়েছিল বিশাল সংখ্যক মানুষের।
এথেন্সের প্লেগঅ্যাথেন্সে আঘাত করা প্লেগটি গ্রিসের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী একটি অধ্যায় ছিল। অনুমান করা হয় যে, মৃতের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষের মতো। গ্রীক ঐতিহাসিক থুসিডাইডিস (৪৬০-৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) এর মতে, “সুস্বাস্থ্যের অধিকারী লোকেরা হঠাৎ করেই গলা বা জিহ্বাতে লালভাব এবং প্রদাহের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। সেই সঙ্গে মাথায় অদ্ভুত একটা তাপ অনুভব করতো । তাদের চোখ লাল হয়ে যেত। সেই সঙ্গে শ্বাস নিতে সমস্যা হত তাদের। এই মহামারীর আসল প্রকৃতি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। তবে অনেকেই মনে করেন এটি টাইফয়েড অথবা ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে।
অ্যান্টোনাইন প্লেগঅ্যান্টোনাইন প্লেগ, যাকে প্রায়শই প্লেগ অফ গ্যালেন হিসাবে উল্লেখ করা হয়, এটি একটি প্রাচীন মহামারী যা এশিয়া ,মিশর, গ্রীস এবং ইতালিকে প্রভাবিত করেছিল। একজন গ্রীক চিকিত্সক ও লেখক গ্যালেন শুধুমাত্র এই প্রাদুর্ভাবের সাক্ষীই ছিলেন না, তিনি গোটা মহামারীর উপসর্গ বর্ণনা করে গেছেন। মহামারীরই সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে ছিল জ্বর, ডায়রিয়া, বমি, পিপাসা, গলা ফুলে যাওয়া এবং কাশি। এই অজানা রোগটি মেসোপটেমিয়া থেকে ফিরে আসা সৈন্যদের দ্বারা রোমে প্রবেশ করেছিল ( 165CE) এবং ৫ মিলিয়নেরও বেশি লোককে হত্যা করেছিল -রোমান সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। গ্যালেনের বর্ণনার উপর ভিত্তি করে, আধুনিক গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, রোগটি সম্ভবত গুটিবসন্ত ছিল। যখন রোম তার ক্ষমতার শীর্ষে ছিল, তখন এই অ্যান্টোনাইন প্লেগ মহামারী প্যাক্স রোমানার অবসানে অবদান রেখেছিল।
জাস্টিনিয়ান প্লেগ এটি ছিল প্লেগ মহামারীর প্রথম বড় প্রাদুর্ভাব — যাকে ওল্ড ওয়ার্ল্ড প্যানডেমিকও বলা হয়, এই ছোঁয়াচে রোগটি কালো ইঁদুরের মধ্যে উপস্থিত Yersinia pestis নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হয়। কাগজ, তেল, হাতির দাঁত এবং ক্রীতদাস সহ উত্তর আফ্রিকা ছিল সেই সময়ে শস্যের প্রাথমিক উৎস। বিস্তীর্ণ গুদামে সংরক্ষিত এই শস্যে মাছি এবং ইঁদুরের বংশবৃদ্ধির জেরে প্লেগ ছড়িয়ে পড়েছিল। দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে রোগটি। কনস্টান্টিনোপল স্থবির হয়ে পড়ে, খাবার ফুরিয়ে যেতে শুরু করে এবং আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। শহরের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। জাস্টিনিয়ার প্লেগকে বিউবোনিক প্লেগও বলা হয়। তৎকালীন বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের শাসক জাস্টিনিয়ান থেকে এই রোগের নামকরণ। এই মহামারীটি বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতনের প্রধান কারণ হয়ে ওঠে।
ব্ল্যাক ডেথঐতিহাসিকভাবে ব্ল্যাক ডেথকে বিউবোনিক প্লেগের একটি বিধ্বংসী রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয় যা ১৩০০- এর শতাব্দীর মাঝামাঝি ইউরোপ এবং এশিয়ায় আঘাত হানে। বলা হয় যে, ১৩৪৭ সালের অক্টোবরে ১২ টি জাহাজ মেসিনার সিসিলিয়ান বন্দরে যখন নোঙ্গর করে তাদের হাত ধরেই প্লেগ ইউরোপে এসেছিল। জাহাজে থাকা বেশিরভাগ নাবিক মারা গিয়েছিল, এবং যারা জীবিত ছিল তারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাদের দেহ কালো ফোঁড়াতে ঢেকে গিয়েছিল , যা থেকে অনবরত রক্ত এবং পুঁজ বের হত । পরবর্তী পাঁচ বছরে, এই ব্ল্যাক ডেথ ইউরোপে ২০ মিলিয়নেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে - যা মহাদেশের জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বিজ্ঞানীদের মতে, বিউবোনিক প্লেগ লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমে আক্রমণ করেছিল, যার ফলে লিম্ফ নোডগুলি ফুলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সা না করা হলে সংক্রমণ রক্ত বা ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
লন্ডনের মহামারীব্ল্যাক ডেথের পর থেকে ইংল্যান্ডে প্লেগের সবচেয়ে খারাপ প্রাদুর্ভাব দেখা যায় ১৩৪৮ সালে । লন্ডন তার জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ হারিয়েছে এই প্লেগের জেরে। শহরে ৬৮,৫৯৬ টি মৃত্যুর খবর রেকর্ড করা হলেও প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত ১ লক্ষের বেশি ছিল। গ্রীষ্মের মাসগুলিতে মৃত্যুর হার বাড়তে শুরু করে এবং সেপ্টেম্বরে শীর্ষে পৌঁছেছিল যখন এক সপ্তাহে ৭, ১৬৫ জন লন্ডনবাসী মারা গিয়েছিল। আবারও এই প্লেগটি ইঁদুরের কারণে হয়েছিল। নগরের দরিদ্রতম এলাকায় স্যানিটেশনের অভাব, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকার কারণে সেগুলি ইঁদুরের অবাধ প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। সেইসময়ে লন্ডন এবং অন্যান্য শহরগুলির সাথে সমস্ত বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। স্কটল্যান্ড কাউন্সিল ঘোষণা করে যে, ইংল্যান্ডের সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। গোটা লন্ডন নজিরবিহীন বেকারত্বের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছিল।
কলেরা মহামারীকলেরা একটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ এবং প্রধানত খাদ্য ও পানির মাধ্যমে সংক্রামিত হয়। গত ২০০ বছরে সাতটি কলেরা মহামারী হয়েছে, যার বৃহত্তম উৎপত্তি ভারতে। গঙ্গা নদী থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল এই মহামারী। পরে এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষের জীবন শেষ করেছে। ১৮৫২ থেকে ৬০ সালের মধ্যে যে কলেরা মহামারী হয়েছিল সেটি ছিল সবথেকে মারাত্মক। ১৮৫৪ সাল পর্যন্ত মহামারীটির কারণ অজানা ছিল। পরে জন স্নো, একজন ব্রিটিশ চিকিত্সক গবেষণা করে দূষিত পানিকে রোগের সংক্রমণের মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করতে সফল হন। একই বছরে, এই মহামারী গ্রেট ব্রিটেনে ২৩ হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছিল। অতি সম্প্রতি (২০১৬-২১) ইয়েমেন কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখেছে ।
কয়েক শতাব্দী ধরে ফ্লু এর প্রাদুর্ভাব নতুন যুগে উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার জেরে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে, এই রোগটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে যাতে এক মিলিয়ন মানুষ মারা গেছেন। মহামারীটির সর্বোচ্চ মৃত্যুর হারে পৌঁছাতে মাত্র পাঁচ সপ্তাহ সময় লেগেছিল।
রাশিয়ায় প্রথম ইনফ্লুয়েঞ্জার কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। বিমান ভ্রমণ ছাড়াই ভাইরাসটি দ্রুত ইউরোপ এবং বাকি বিশ্ব জুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ১৯১৮ সালে, স্প্যানিশ ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছিল এবং এর ফলে বিশ্বব্যাপী ৫০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। যেহেতু এই ঘাতক ফ্লু স্ট্রেইনের চিকিৎসার জন্য কোন কার্যকরী ওষুধ বা ভ্যাকসিন ছিল না, তাই এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়েছিল এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বিশাল সংখ্যক সৈন্যর প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। স্প্যানিশ ফ্লু নাম হওয়া সত্ত্বেও, রোগটি সম্ভবত স্পেনে শুরু হয়নি। স্পেন রোজ এই সংক্রান্ত নানা খবরাখবর দিত , তাই সেইসময়ে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন রোগটির উৎপত্তি বুঝি স্পেনে। সেই থেকে এর নাম হয়ে যায় স্প্যানিশ ফ্লু। ১৯৫৭ সালে, এশিয়ান ফ্লু হংকং থেকে শুরু হয়েছিল, চীন এবং তারপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে। এটি ইংল্যান্ডে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে যেখানে ছয় মাসেরও বেশি সময় ১৪ হাজার মানুষ মারা যান এবং সামগ্রিকভাবে এই রোগটি এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষের জীবন কেড়ে নেয়।
এইচআইভিহিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) একজন ব্যক্তির ইমিউন সিস্টেমকে ধ্বংস করে, যার ফলে একাধিক রোগের কবলে পড়ে রোগীর মৃত্যু ঘটে। এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত ব্যক্তিদের শরীরে সংক্রমণের পরে জ্বর, মাথাব্যথা এবং বর্ধিত লিম্ফ নোডের উপসর্গ দেখা যায়। উপসর্গ কমে গেলে দেখা যায় এইচআইভি দেহের টি-কোষকে ধ্বংস করে দিচ্ছে । ১৯২০ -এর দশকে এইচআইভি শিম্পাঞ্জি থেকে মানুষের মধ্যে প্রবেশ করেছে বলে বিশ্বাস করা হত , যা কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র থেকে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। এটি সম্ভবত সিমিয়ান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এসআইভি) বহনকারী শিম্পাঞ্জিদের থেকে মানব দেহে আসে। এটি এইচআইভির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত একটি ভাইরাস। এই অঞ্চলে বসবাসকারী লোকেরা শিম্পাঞ্জি শিকার করে খেত তার থেকেই ছড়িয়ে পরে এইচআইভি। এই রোগ আবিষ্কারের পর থেকে বিশ্বব্যাপী ৩৫ মিলিয়ন মানুষ মারা গেছে এবং এখনও এটির প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
আমেরিকান পোলিও মহামারী পোলিও একটি প্রাচীন রোগ। একটি ছবিতে দেখা যায় প্রাচীন মিশরে ১৮ তম রাজবংশের (1570–1342 BCE) আমলে একজন যাজককে পক্ষাঘাতের কবলে পড়তে। তাঁর ডান পা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। ১৯তম রাজবংশের শেষের দিকে (1342-1197 BCE) ফারাও সিপ্তাহের মমি -র বাম পায়ে একই ধরনের বৈশিষ্ট্যযুক্ত বিকৃতি দেখা গেছে । ইতিহাসে এরকম অনেক অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু একটি পোলিও মহামারী যেটি শুধুমাত্র নিউইয়র্ক সিটিতে শুরু হয়েছিল তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২৭ হাজার মানুষকে আক্রমণ করেছিল এবং ৬ হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। এই রোগটি প্রধানত শিশুদের প্রভাবিত করে এবং কখনও কখনও দেহে স্থায়ী বিকৃতির জন্ম দিয়ে যায়। ১৯৫৪ সালে ভ্যাকসিন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাঝে মাঝেই পোলিও মহামারীর রূপ নিত। ১৯৭৯ সালে আমেরিকায় সর্বশেষ পোলিও আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া যায় ।বিশ্বব্যাপী টিকাদানের প্রচেষ্টা এই রোগটিকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করেছে, যদিও এটি এখনও সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হয়নি। এশিয়া ব্যতীত সমস্ত মহাদেশে পোলিও ভাইরাস নির্মূল করা হয়েছে এবং ২০২০ সালের হিসাবে, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান একমাত্র দুটি দেশ যেখানে রোগটি এখনও রয়ে গেছে।
মহামারী কাকে বলে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর মতে , একটি নির্দিষ্ট ভৌগলিক এলাকায় রোগের সংখ্যার অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধি হিসাবে একটি মহামারীকে বর্ণনা করা হয় । হলুদ জ্বর, গুটিবসন্ত, হাম এবং পোলিও মহামারীর প্রধান উদাহরণ।
স্থানীয় মহামারীএন্ডেমিক হলো একটি রোগের প্রাদুর্ভাব যা ধারাবাহিকভাবে উপস্থিত থাকলেও একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এটি রোগের বিস্তার এবং হার অনুমানযোগ্য করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, ম্যালেরিয়াকে নির্দিষ্ট কিছু দেশ এবং অঞ্চলে একটি স্থানীয় রোগ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
অতিমারী একটি রোগের বৃদ্ধি যখন ব্যাপক আকার ধারণ করে তখন তাকে অতিমারী বলে বর্ণনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। অতিমারীর প্রভাবে প্রতিদিনের সংক্রমণের হার আগের দিনের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়। একটি ভাইরাস বিভিন্ন দেশ এবং তার জনসংখ্যাকে প্রভাবিত করে।
সূত্র : www.dawn.com