শেষের পাতা
মাওলানা হাবিবুর রহমানের ইন্তেকাল জানাজায় মানুষের ঢল
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২০১৮-১০-২০
সিলেটের ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব ও প্রখ্যাত আলেম প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা হাবিবুর রহমান আর নেই। সিলেটবাসীকে কাঁদিয়ে তিনি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তার মৃত্যুতে সিলেটে শোক নেমে এসেছে। কাঁদছেন আলেম-উলামারা। তার জানাজা নামাজে অংশ নিতে লোকারণ্য হয়েছিল সিলেটের ঐতিহাসিক আলীয়া মাদরাসা ময়দান। জানাজার পূর্বে তার কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সিলেটের বিভিন্ন অঙ্গনের প্রতিনিধিরা। সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ আলেমকে গতকাল বিকেলে তার চিরচেনা প্রতিষ্ঠান কাজীরবাজার জামেয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়। প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান সিলেটের ইসলামী আন্দোলনের অগ্রসেনানী। তিনি আফগান যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়া তসলিমা নাসরিনের মাথার দাম হাঁকিয়ে তিনি দেশজুড়ে আলোচিত হয়েছিলেন।
শেষ জীবনে তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীরের দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি তিনি জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজীরবাজার মাদরাসার প্রিন্সিপাল ছিলেন। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন থেকে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ৭ই অক্টোবর তিনি চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন। সেখান থেকে দু’দিন আগে দেশে ফিরে আসেন। এরপর বাসাতেই বিশ্রামে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর খবর শোনামাত্র হাজার হাজার মানুষ রায়নগর ঝেরঝেরিপাড়াস্থ বাসায় ভিড় জমান।
তার প্রিয় প্রতিষ্ঠান কাজীরবাজার মাদরাসায় ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে পড়ে কান্নার রোল। তিনি স্ত্রী, চার ছেলে ও তিন কন্যাসন্তান, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার বড় ছেলে মাওলানা মুসা বিন হাবিব জামেয়া মাদানিয়া কাজীরবাজার মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল। তার বড় জামাতা মাওলানা তাজুল ইসলাম, দ্বিতীয় জামাতা মাওলানা আতাউর রহমান ইংল্যান্ড প্রবাসী, ছোট জামাতা মাওলানা সহল আল রাজি ব্যবসায়ী ও সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য। প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান দেশের প্রাচীনতম আলিয়া গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি মাদরাসায় ফাজিল পর্যন্ত পড়েছেন। কামিল দিয়েছেন সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা থেকে। প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমানের নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের দ্বিতীয় ছেলে মাওলানা ইউসুফ। প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমানের জানাজা উপলক্ষে সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে জনতার ঢল নামে।
আলিয়া মাদরাসা মাঠে লক্ষাধিক মানুষ জানাজায় অংশ নেন। নামাজের আগে মরহুমের জীবনী নিয়ে দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদ, আলেম-উলামারা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তারা বলেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান ছিলেন একজন সংগ্রামী আলেমে দ্বীন ও বহুগুণে গুণান্বিত শ্রদ্ধাভাজন মানুষ। দ্বীনি শিক্ষার প্রচার-প্রসার ও বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তার অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে ইসলামী রাজনৈতিক অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। জানাজার নামাজে প্রখ্যাত আলেম রশীদুর রহমান ফারুক, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট-২ আসনের এমপি ইয়াহহিয়া চৌধুরী এহিয়া, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বাবরুল হোসেন বাবুল, মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীসহ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া জানাজার নামাজে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. একে আবদুল মোমেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরসহ রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় প্রিয় প্রতিষ্ঠান কাজীরবাজার জামেয়া মাদরাসায়। মাদ্ররাসা চত্বরেই তাকে চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হয়। ১৯৯৪ সালে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়ে সারা দেশে আলোচনায় আসেন প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান। তার সংগঠন সাহাবা সৈনিক পরিষদের ব্যানারে সিলেটে অসংখ্য সভা-সমাবেশ করেন।
এছাড়াও দেশের নাস্তিক-মুরতাদবিরোধী আন্দোলনের সব সময়ই তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৭৪ সালের জুনে দেশের শীর্ষ আলেমদের তত্ত্বাবধানে সিলেটের কাজীরবাজার এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন ঐতিহ্যবাহী জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজীরবাজার মাদরাসা। দারুল উলুম দেওবন্দের নীতিতে পরিচালিত এই মাদরাসা শুরু থেকেই সিলেবাসে বাংলা, ইংরেজিসহ জাগতিক বিষয় যুক্ত করে নতুন ধারার সূচনা করে। অবিভক্ত জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের রাজনীতি থেকে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর নির্বাচিত হন প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান। ২০১২ সালে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশে খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক মৃত্যুবরণ করার পরে দলের সিদ্ধান্তে আমীর নিযুক্ত হন মাওলানা হাবিবুর রহমান। প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমানের গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ঘনশ্যাম গ্রামে। তিনি সিলেট-৬ আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মেয়রের শোক: বাংলাদেশে ইসলামী রাজনৈতিক আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর এবং সিলেট নগরীর ঐতিহ্যবাহী কাজীরবাজার মাদরাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা হযরত মাওলানা হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এক শোক বার্তায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, মাওলানা হাবিবুর রহমান ছিলেন সহীহ্ আক্বীদার পীর, একজন বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন, ইসলামী চিন্তাবিদ ও সাহসী মর্দে মুজাহিদ। তার মৃত্যুতে মুসলিম জাতির অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে সিসিক মেয়র বলেন, তার মৃত্যুতে সিলেটবাসী একজন ইসলামের সেবককে হারিয়েছেন। এ ক্ষতি পূরণ হবার নয়। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
কামরানের শোক: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর, ইসলামী আন্দোলনের কিংবদন্তি সিংহপুরুষ জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজীরবাজার মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। তিনি এক শোক বার্তায় বলেন, প্রিন্সিপাল হাবিুবর রহমানের মৃত্যুতে ইসলাম ও রাজনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। সিলেটসহ দেশের ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রিন্সিপালের বলিষ্ঠ প্রতিবাদী নেতৃত্ব জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
শেষ জীবনে তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীরের দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি তিনি জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজীরবাজার মাদরাসার প্রিন্সিপাল ছিলেন। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন থেকে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ৭ই অক্টোবর তিনি চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন। সেখান থেকে দু’দিন আগে দেশে ফিরে আসেন। এরপর বাসাতেই বিশ্রামে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর খবর শোনামাত্র হাজার হাজার মানুষ রায়নগর ঝেরঝেরিপাড়াস্থ বাসায় ভিড় জমান।
তার প্রিয় প্রতিষ্ঠান কাজীরবাজার মাদরাসায় ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে পড়ে কান্নার রোল। তিনি স্ত্রী, চার ছেলে ও তিন কন্যাসন্তান, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার বড় ছেলে মাওলানা মুসা বিন হাবিব জামেয়া মাদানিয়া কাজীরবাজার মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল। তার বড় জামাতা মাওলানা তাজুল ইসলাম, দ্বিতীয় জামাতা মাওলানা আতাউর রহমান ইংল্যান্ড প্রবাসী, ছোট জামাতা মাওলানা সহল আল রাজি ব্যবসায়ী ও সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য। প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান দেশের প্রাচীনতম আলিয়া গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি মাদরাসায় ফাজিল পর্যন্ত পড়েছেন। কামিল দিয়েছেন সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা থেকে। প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমানের নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের দ্বিতীয় ছেলে মাওলানা ইউসুফ। প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমানের জানাজা উপলক্ষে সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে জনতার ঢল নামে।
আলিয়া মাদরাসা মাঠে লক্ষাধিক মানুষ জানাজায় অংশ নেন। নামাজের আগে মরহুমের জীবনী নিয়ে দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদ, আলেম-উলামারা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তারা বলেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান ছিলেন একজন সংগ্রামী আলেমে দ্বীন ও বহুগুণে গুণান্বিত শ্রদ্ধাভাজন মানুষ। দ্বীনি শিক্ষার প্রচার-প্রসার ও বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তার অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে ইসলামী রাজনৈতিক অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। জানাজার নামাজে প্রখ্যাত আলেম রশীদুর রহমান ফারুক, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট-২ আসনের এমপি ইয়াহহিয়া চৌধুরী এহিয়া, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বাবরুল হোসেন বাবুল, মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীসহ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া জানাজার নামাজে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. একে আবদুল মোমেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরসহ রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় প্রিয় প্রতিষ্ঠান কাজীরবাজার জামেয়া মাদরাসায়। মাদ্ররাসা চত্বরেই তাকে চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হয়। ১৯৯৪ সালে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়ে সারা দেশে আলোচনায় আসেন প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান। তার সংগঠন সাহাবা সৈনিক পরিষদের ব্যানারে সিলেটে অসংখ্য সভা-সমাবেশ করেন।
এছাড়াও দেশের নাস্তিক-মুরতাদবিরোধী আন্দোলনের সব সময়ই তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৭৪ সালের জুনে দেশের শীর্ষ আলেমদের তত্ত্বাবধানে সিলেটের কাজীরবাজার এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন ঐতিহ্যবাহী জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজীরবাজার মাদরাসা। দারুল উলুম দেওবন্দের নীতিতে পরিচালিত এই মাদরাসা শুরু থেকেই সিলেবাসে বাংলা, ইংরেজিসহ জাগতিক বিষয় যুক্ত করে নতুন ধারার সূচনা করে। অবিভক্ত জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের রাজনীতি থেকে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর নির্বাচিত হন প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান। ২০১২ সালে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশে খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক মৃত্যুবরণ করার পরে দলের সিদ্ধান্তে আমীর নিযুক্ত হন মাওলানা হাবিবুর রহমান। প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমানের গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ঘনশ্যাম গ্রামে। তিনি সিলেট-৬ আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মেয়রের শোক: বাংলাদেশে ইসলামী রাজনৈতিক আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর এবং সিলেট নগরীর ঐতিহ্যবাহী কাজীরবাজার মাদরাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা হযরত মাওলানা হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এক শোক বার্তায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, মাওলানা হাবিবুর রহমান ছিলেন সহীহ্ আক্বীদার পীর, একজন বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন, ইসলামী চিন্তাবিদ ও সাহসী মর্দে মুজাহিদ। তার মৃত্যুতে মুসলিম জাতির অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে সিসিক মেয়র বলেন, তার মৃত্যুতে সিলেটবাসী একজন ইসলামের সেবককে হারিয়েছেন। এ ক্ষতি পূরণ হবার নয়। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
কামরানের শোক: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর, ইসলামী আন্দোলনের কিংবদন্তি সিংহপুরুষ জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজীরবাজার মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। তিনি এক শোক বার্তায় বলেন, প্রিন্সিপাল হাবিুবর রহমানের মৃত্যুতে ইসলাম ও রাজনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। সিলেটসহ দেশের ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রিন্সিপালের বলিষ্ঠ প্রতিবাদী নেতৃত্ব জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।