× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বানিয়াচংয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু

বাংলারজমিন

মখলিছ মিয়া, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) থেকে
২৭ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার

বানিয়াচংয়ের ধোপাজুরা খালের সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ। দেখার যেন কেউ নেই। প্রায় ১৫ বছর আগে বানিয়াচং উপজেলার ১০নং সুবিদপুর ইউনিয়নের আতুকুড়া-সুবিদপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে ধোপাজুরা খালের উপর এলজিইডি একটি সেতু নির্মাণ করে। এই ১৫ বছরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে সেতুটি জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। সেতুর রেলিংয়ের দুইপাশের রেলিং বাঁশ দিয়ে আটকানো রয়েছে। বর্তমানে সেতুটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াতে এই সেতু ব্যবহার করেন। বিকল্প কোনো যাতায়াত পথ না থাকায়, মরণফাঁদ জেনেও গ্রামবাসী এই সেতু ব্যবহার করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রিজের রেলিংয়ের দুইপাশ থেকে ভেঙে যাওয়াসহ উপরের সিমেন্টের তৈরি পাটাতন ধসে যাওয়ায় বাঁশ দিয়ে আটকানো রয়েছে রেলিং। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের একমাত্র যানবাহন ব্যাটারি চালিত টমটম চলাচলও বন্ধ হওয়ার পথে। ছোট ছোট যানবাহনগুলো যাত্রী নামিয়ে পারাপার হচ্ছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজটি মেরামতের জন্য এলাকাবাসী বিভিন্ন মানববন্ধনসহ মিছিল-মিটিং করলেও কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দেখেও যেন না দেখার ভান করছেন। বর্তমানে ব্রিজটির অবস্থা খুবই করুণ। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে ব্রিজটি। যার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন ও নানান দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন পথচারী, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। শত শিক্ষার্থীর চলাচলের একমাত্র ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরাও। ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিদিনই শত শত কোমলমতি শিশু-শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। প্রায় প্রতিদিনই ছোট বড় নানান দুর্ঘটনার শিকার হন এলাকাবাসী। অথচ ব্রিজটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো মাথাব্যথা নেই। এই ব্রিজের দিয়ে খুব সহজেই পার্শ্ববর্তী উপজেলায় যাওয়া যায় বিধায় যানবাহন ও চলাচল করে বেশি। এই ব্রিজ ব্যবহার করে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দু’টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কলেজ ও একটি মাদরাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। যার ফলে সীমাহীন এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। বিকল্প কোনো যাতায়াত পথ না থাকায়, মরণফাঁদ জেনেও ব্রিজ ব্যবহার করেন গ্রামবাসীসহ কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা প্রকৌশলী আলনূর তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের তালিকা করে উপর মহলে পাঠানো হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে কাজ করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর