× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথমবারের মতো এএফসি কাপের নকআউট পর্বে আবাহনী

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৭ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার

আগের দুবার বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে। তবে এবার আর হতাশ করেনি ঢাকা আবাহনী। ‘ই’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এএফসি কাপের নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে আকাশি-হলুদ শিবির। গতকাল গ্রুপসেরা হওয়ার পথে ভারতের মিনার্ভা পাঞ্জাবকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আবাহনী। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে জয়সূচক গোলটি করেন আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ সাইগানি। শেষ ম্যাচের আগে আবাহনীর সমীকরণ ছিল চেন্নাইন এফসির ম্যাচের ফল অনুরূপ কিছু পাওয়া। দুই দলের পয়েন্ট সমান হয়ে গেলে হেড টু হেড অ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে থাকায় চেন্নাইন এফসি চলে যেত পরের রাউন্ডে। মানাং মার্সিয়াংদির বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয় পেলেও শেষ পর্যন্ত সেটা যথেষ্ট হয়নি চেন্নাইনের।
১১ পয়েন্ট নিয়ে তারা হয়েছে দ্বিতীয়, আর ৫ ম্যাচে ৪ জয় এক ড্র ও এক হারে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ই গ্রুপের একমাত্র দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত হয়েছে আবাহনীর।
ভিসা জটিলতায় ভারতে যেতে পারেননি নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে সিজোবা। ইনজুরির কারণে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ওয়েলিংটন প্রিওরিও খেলতে পারেননি। তপু ফাহাদ নেই দীর্ঘদিন। দলের এতোসব গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছাড়াই জয়ের উচ্ছ্বাস করে আবাহনী। গৌহাটির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে প্রথম আক্রমণ ছিল মিনার্ভার। ষষ্ঠ মিনিটে ফরোয়ার্ড স্যামুয়েল লালমুয়ানপুইয়ার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় অল্পের জন্য। এরপর নিজেদের গুছিয়ে আক্রমণে ওঠে আবাহনী। দশম মিনিটে হাইতির ফরোয়ার্ড কেরভেন্স বেলফোর্টের বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া শট পোস্টে যাওয়ার ঠিক আগে ফিরিয়ে দেন প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার। ২২ মিনিটে অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলামের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আবার হতাশ করে বাংলাদেশের জনপ্রিয় দলকে। ৩০ মিনিটে আবার হতাশা। মিডফিল্ডার সোহেল রানার অ্যাসিস্ট থেকে ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবনের শট ঠেকিয়ে দেন মিনার্ভার গোলকিপার ভাস্কর রায়। ৫ মিনিট পর মামুনুলের পাস থেকে সোহেলের শটও ভাস্করকে পরাস্ত করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ঢেউ তুললেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না আবাহনী। ৫৩ মিনিটে সাইগানির পাস থেকে ফরোয়ার্ড জুয়েল রানার শট পোস্ট খুঁজে পায়নি। ৭০ মিনিটে জীবনের শট চলে যায় সাইড বার ঘেঁষে। ৬ মিনিট পর বদলি ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ শীতলের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় একটুর জন্য। ৮০ মিনিটে অবশ্য সৌভাগ্যের ছোঁয়া পায় আবাহনী। মিনার্ভার আকাশদীপ সিংয়ের শট সাইডবারে লেগে প্রতিহত হলে বেঁচে যায় প্রিমিয়ার লীগের সফলতম দল। ম্যাচ যখন ড্রয়ের পথে, ঠিক তখনই মহামূল্যবান গোলটির জন্ম। ৯৩ মিনিটে জীবনের কর্নার থেকে হেড করেছিলেন বেলফোর্ট। বল শূন্যে থাকা অবস্থায় সাইগানির দুর্দান্ত হেড চলে যায় মিনার্ভার পোস্টে। একটু পরই বেজে ওঠে শেষ বাঁশি। আবাহনী তখন প্রথমবারের মতো এএফসি কাপের নকআউট পর্বে ওঠার আনন্দে উন্মাতাল!
আবাহনী: শহীদুল আলম সোহেল, রায়হান হাসান, ওয়ালি ফয়সাল, টুটুল হোসেন বাদশা, মামুনুল ইসলাম, সোহেল রানা, নাবীব নেওয়াজ জীবন (মামুন মিয়া), জুয়েল রানা (ফয়সাল আহমেদ শীতল), সাদ উদ্দীন, মাসিহ সাইগানি ও কেরভেন্স বেলফোর্ট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর