× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘একদিনের জন্য হলেও মেনে নিক’

ষোলো আনা

আল রাউফ
৯ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার

ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদ মানেই পরিবারের সঙ্গে দিনটা পালন করা। কিন্তু সেই সৌভাগ্য হয়ে ওঠে না অ্যাঞ্জেলের। তার বাবা-মায়ের দেয়া নাম আছে। সেটা এখন আর বলতেই চান না তিনি। অনেক ছোট বেলাতেই বাধ্য হয়ে পা রাখতে হয় হিজড়া পল্লীতে। এখানেই পেয়েছেন নতুন এই নাম। বয়স ২৬।
তিনি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। থাকেন রায়ের বাজারে। সকলে এটাকে হিজড়া পল্লী নামেই জানে।

অ্যাঞ্জেল বলেন, বাবা মা আমাকে সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতে চান না। খুব ইচ্ছা করে বাবা মা ভাই বোনের সঙ্গে ঈদ করি। কিন্তু সেই ভাগ্য আমার নেই। ঈদের দিনে খুব মনে পড়ে তাদের। ইচ্ছা করে একটা দিনের জন্য হলেও আমাকে সন্তান হিসেবে মেনে নিক।

অ্যাঞ্জেলরা এই পল্লীতেই ঈদ করেন। সেখানে একসঙ্গে ৫২ জন থাকেন। এই ছোট পল্লীটাই তাদের এখন রাজ্য। পরিবার।

ঈদের দিনের পরিকল্পনা জানতে চাইলে অ্যাঞ্জেল বলেন, বিশেষ কোন পরিকল্পনা নেই। কোনবারই থাকে না। তবুও, সেজেগুজে বের হই। এই দিনে অনেকেই ধানমণ্ডি লেকে ঘুরতে আসেন। তাদের কাছে প্রতিদিনের মতো টাকা তুলি। আর সম্ভব হলে সবাই মিলে একসঙ্গে রিকশা নিয়ে ঘুরতে বের হই। সিনেমা দেখতে যাবো কিংবা রেস্টুরেন্টে খেতে যাবো তারও উপায় নেই। মানুষের বাঁকা কথা। আর খারাপ আচরণ করে আমাদের সঙ্গে। তাই রিকশা নিয়েই ঘুরতে যাওয়াই আনন্দের মনে হয়।

তিনি আরো বলেন, ঈদের দিন সবাই একসঙ্গে খাই আমরা। আয়োজন হয় পোলাও মাংসসহ নানা পদ। ঈদ উপলক্ষে চেষ্টা করি নতুন পোশাক কিনতে। কিন্তু সব সময় তা সম্ভব হয়ে উঠে না। তখন পুরাতন কাপড়টাই নতুন ভেবে পরি। টাকা চাইলেও মুখ ফুটে কারো কাছে পোশাক চাইতে পারি না।

ঈদ অ্যাঞ্জেলদের কাছে সাধারণ একটা দিনের মতোই। তবে এই দিনটায় নিজেদের মাঝে হাসি আনন্দে মেতে উঠলেও তা মূলত একটি দুঃখের দিন। এই দিনটাতেই যে পরিবারের কথা ভীষণভাবে মনে পড়ে তাদের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর