নড়াইলে এক শিশু শিক্ষার্থীর চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগে উঠেছে। সিমান বিশ্বাস (১০) নামে ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রকে অমানুষিক নির্যাতন করে চোখ প্রায় উপড়ে ফেলেছে এমন অভিযোগ করেছে তার পরিবার। গতকাল রাতে নড়াইল সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের কোড়গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। নির্যাতিত সিমান কোড়গ্রামের টুটুল বিশ্বাসের ছেলে। নির্যাতনের ফলে তার চিৎকারে এলাকাবাসী দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় হাসপাাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এলাকাবাসীরা জানায়, সিয়ামের বাড়ির সামনের রাস্তায় পাটকাঠি শুকাতে দেয়া ছিল। বৃষ্টির কারণে গতকাল সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সিমান পাটকাঠি ঘরে তুলছিল। এমন সময় একই গ্রামের প্রতিবেশী প্রভাত সরকার রাস্তা ময়লা করছিস বলে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে শিশু সিমানকে।
এক পর্যায়ে চোখের ভিতর বাঁশের মাথা দিয়ে চাপ মারলে চোখ উপড়ে আসে। এসময় শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। নেয়া হয় সদর হাসপাতালে।
বর্তমানে শিশুটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত প্রভাত সরকার সাতঘরিয়া গ্রামের পরিমলের ছেলে। সে নড়াইলের দোভোগ বাজারে স্বর্নের ব্যবসা করে। এই ঘটনার পর প্রভাত পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মামলা হয়েছে।