× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিক্ষার্থীদের জন্য

ষোলো আনা

শাহ্‌ জামাল
৫ অক্টোবর ২০১৯, শনিবার

রায়টা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজলোর বাহাদুরপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার একটি স্কুল। এ স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বেশির ভাগই সুবিধাবঞ্চিত। ৫৩৮ শিক্ষার্থীর জন্য বিদ্যালয়টিতে রয়েছে ১২ জন শিক্ষক। বিশ্বায়নের যুগে শিক্ষার্থীদরে মানসম্মত শিক্ষা উপহার দিতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে পাঠদান করানো হচ্ছে। পিছিয়ে থাকতে চান না এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। তারা মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা করে নিজেদের জন্য কিনেছেন ১২ টি ল্যাপটপ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ৪/৫ বছর আগে সরকারিভাবে ২টি ল্যাপটপ পেয়েছিলাম। দু’টোই নষ্ট হয়ে যায়।
কিন্তু প্রতিযাগিতার এ সময়ে আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না। তাই নিজেরাই বেতনের কিছু অংশ মাসিক কিস্তিতে জমা করে উন্নতমানের ১২টি ল্যাপটপ কিনেছি। ২টি প্রজেক্টর ছিল। ১টি নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই। ১টি দিয়ে কোনোরকম চলছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস। আরো ৩/৪টি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর হলে শিক্ষকরা ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে বেশি বেশি করে পাঠদান করতে পারতেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই তৈরি করেন ডিজিটাল কনটেন্ট।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল মারুফ বিদ্যালয়ের ব্যতিক্রমী এ অর্জনকে দেখছেন অনন্য কৃতিত্ব হিসেবে। তিনি বলেন, যেখানে অনেক ভালো আর সামর্থ্যবান স্কুলের শিক্ষকেরা, বিভিন্ন প্রকল্প থেকে স্কুলে ব্যবহারের ল্যাপটপ চান, সেখানে রায়টা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তাদের সমস্যার কথা শুনেছি, অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর