× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আবরারকে নিয়ে গার্ডিয়ানের রিপোর্ট

ষোলো আনা

মোহাম্মদ আবুল হোসেন
১১ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার

ক্যাম্পাসগুলোতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত হামলার অব্যাহত প্রতিবাদের মধ্যে বুয়েটের নিহত ছাত্র আবরার ফাহাদের পিতা তার সন্তান হত্যার ন্যায়বিচার দাবি করেছেন। সরকারের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার জন্য আবরার ফাহাদ (২২)কে টার্গেট করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফাহাদকে তার হলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার ন্যায়বিচার চান তার পিতা। বৃটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা গার্ডিয়ানের অনলাইন সংস্করণ এ খবর দিয়ে বলছে,  ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে। এখন সন্তান হারিয়ে বুক চাপড়ে কাঁদছেন তার পিতা বরকত উল্লাহ। তিনি বলেছেন, আবরার পিএইচডি অর্জন করার আশা করেছিল। চেয়েছিল দেশের সেবা করতে।
তাকে হত্যার মতো এমন ঘটনা বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের জানা উচিত হলের ভেতরে কি ঘটছে। এমন কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। প্রশাসন যদি এটা করতে পারে তাহলে হয়তো এ ধরনের হত্যা বন্ধ হবে।

গার্ডিয়ান আরো লিখেছে, আবরার হত্যাকাণ্ড পুরো দেশে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মতো এমন সংগঠনগুলোর নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো। এসব সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের প্রহার এবং সমালোচনাকে স্তব্ধ করে দেয়ার অভিযোগ আছে। গত বছর স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অধিক নিরাপদ সড়কের দাবিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছিলেন। তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এর জন্য আওয়ামী লীগ ও এর যুব সংগঠনকে দায়ী করা হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, কিন্তু যারা ওই সহিংসতা ঘটিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি কর্তৃপক্ষ। উল্টো তারা আটক করেছে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের।

গার্ডিয়ান আরো লিখেছে, বুয়েটের প্রথম বর্ষের একজন ছাত্র বলেছেন, আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ বোধ করেন না। তার ভাষায়, আমরা কখনো মুক্তভাবে কথা বলতে পারি না। আবরারের বন্ধুরা বলেছেন, সম্প্রতি নয়াদিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এর সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন ফাহাদ। এ জন্য তার ওপর ওই নৃশংসতা হয়েছে। পানিবণ্টন ও ভারতের কাছে গ্যাস রপ্তানির মতো বিতর্কিত চুক্তিকে অনেকেই বলছেন, এ চুক্তি দেশের স্বার্থে নয়।

আবরার ফাহাদের লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী প্রহারের ফলে শরীরের অভ্যন্তরে মারাত্মক রক্তক্ষরণ থেকে নিহত হয়েছেন তিনি। পিতা বরকত উল্লাহ বলেন, আবরারের ছিল শিশুসুলভ মানসিকতা। তার এই হত্যাকাণ্ডকে ভয়াবহ এক ক্রাইম হিসেবে আখ্যায়িত করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাউথ এশিয়া। তারা অবিলম্বে এই হত্যার তদন্ত দাবি করেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, আবরার সরকারের সমালোচনা করে ফেসবুকে শান্তিপূর্ণভাবে তার মুক্ত মতপ্রকাশের অধিকার চর্চা করেছিলেন। ফাহাদের পরিবারকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর