শেষের পাতা
কাউন্সিলর মিজান ও রাজীবের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
স্টাফ রিপোর্টার
২০১৯-১১-০৭
ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটির দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই দুই কাউন্সিলর হলেন, ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব ও ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান ওরফে পাগলা মিজান। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে গতকাল আলাদা দুটি মামলা করা হয়েছে। রাজীবের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী আর মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন উপ- পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক ব্যবসা, দখলবাজি, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা অভিযোগে তাদেরকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
দুদকসূত্রে জানা যায়, মামলায় মিজানের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন আর রাজীবের মামলায় তার আয়ের সঙ্গে ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার কথা বলা হয়েছে। এজাহারসূত্রে জানা গেছে, রাজীবের অবৈধ সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ১ নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর প্লটে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি, কাটাসুর ৩ নম্বর রোডে একটি প্লট, মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডে ৫ তলা ও ৪ তলা দুটি বাড়ি, চান মিয়া হাউজিং লিমিটেডে ৩তলা বাড়ি, সাত মসজিদ হাউজিংয়ে চাচার নামে বাড়ি। সিলিকন হাউজিংয়ের শেয়ার হোল্ডার এবং শ্যামলাপুর ওয়ের্ষ্টার্ণ সিটি লিমিটেডের পরিচালক রাজীবের নামে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৬ নম্বর সড়কে ছয় কাঠা জমি রয়েছে।
মামলার এজাহারে হাবিবুর রহমান মিজানের সম্পত্তি নিয়ে বলা হয়েছে, মোহাম্মদপুর বছিলায় ৩০ কাঠা জমি দখল করে মার্কেট নির্মান, মার্কেটের পাশে ৪৮২ কাঠা জমি দখল, ২০টি টিনের দোকান নির্মান করে ভাড়া আদায়, লালমাটিয়া বি ব্লকে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে ‘স্বপ্নপুরী হাউজিং’ গড়ে তোলেন। একই এলাকার আরেক জায়গায় ১০ কাঠা জমিতে ‘পপুলার অর্কিড’ নামে ছয় তলা ভবন, পাশে আরেকটি ১০ কাঠা জমিতে ‘ইমপেরিয়াল গার্ডেন’ নামে ছয় তলা ভবন, আরেকটি ১০ কাঠা জমিতে দুই ইউনিট বিশিষ্ট ছয় তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। স্বপ্নপুরী হাউজিং কমপ্লেক্সের পাশে ‘আড়ং মার্ট’ নামে ১৫ কাঠার জমিতে নির্মাণাধীন সাততলা ভবন রয়েছে।
দুদকসূত্রে জানা যায়, মামলায় মিজানের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন আর রাজীবের মামলায় তার আয়ের সঙ্গে ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার কথা বলা হয়েছে। এজাহারসূত্রে জানা গেছে, রাজীবের অবৈধ সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ১ নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর প্লটে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি, কাটাসুর ৩ নম্বর রোডে একটি প্লট, মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডে ৫ তলা ও ৪ তলা দুটি বাড়ি, চান মিয়া হাউজিং লিমিটেডে ৩তলা বাড়ি, সাত মসজিদ হাউজিংয়ে চাচার নামে বাড়ি। সিলিকন হাউজিংয়ের শেয়ার হোল্ডার এবং শ্যামলাপুর ওয়ের্ষ্টার্ণ সিটি লিমিটেডের পরিচালক রাজীবের নামে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৬ নম্বর সড়কে ছয় কাঠা জমি রয়েছে।
মামলার এজাহারে হাবিবুর রহমান মিজানের সম্পত্তি নিয়ে বলা হয়েছে, মোহাম্মদপুর বছিলায় ৩০ কাঠা জমি দখল করে মার্কেট নির্মান, মার্কেটের পাশে ৪৮২ কাঠা জমি দখল, ২০টি টিনের দোকান নির্মান করে ভাড়া আদায়, লালমাটিয়া বি ব্লকে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে ‘স্বপ্নপুরী হাউজিং’ গড়ে তোলেন। একই এলাকার আরেক জায়গায় ১০ কাঠা জমিতে ‘পপুলার অর্কিড’ নামে ছয় তলা ভবন, পাশে আরেকটি ১০ কাঠা জমিতে ‘ইমপেরিয়াল গার্ডেন’ নামে ছয় তলা ভবন, আরেকটি ১০ কাঠা জমিতে দুই ইউনিট বিশিষ্ট ছয় তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। স্বপ্নপুরী হাউজিং কমপ্লেক্সের পাশে ‘আড়ং মার্ট’ নামে ১৫ কাঠার জমিতে নির্মাণাধীন সাততলা ভবন রয়েছে।