বাংলারজমিন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কলেজছাত্রীকে হত্যা: সহপাঠীদের মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২০১৯-১১-০৮
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী দীপা দেবনাথ মাম্পীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। বুধবার হাসপাতালে দীপার লাশ ফেলে পালিয়ে যান তার স্বামী। এদিকে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ওই কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হয়। এতে মাম্পীর হত্যায় তার স্বামী ও শাশুড়ি জড়িত বলে তাদের ফাঁসি দাবি করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ইশরাত জাহান বিথী, খাদিজা আক্তার বাবলী, জান্নাত রায়হানা, মো. জুবায়েদ, মো. মনির, অর্পিতা দেবনাথ। বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে মাম্পীর লাশ রেখে পালিয়ে যায় তার স্বামী ও স্বজনরা। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের উসমানপুর গ্রামের চিকিৎসক পরিতোষ দেবনাথের মেয়ে দীপা দেবনাথ মাম্পীর সঙ্গে বিয়ে হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব পাইকপাড়ার ধোপাবাড়ী এলাকার মৃত অমল চন্দ্র রায়ের ছেলে অপূর্ব রায়ের। অপূর্ব হোলসিম সিমেন্টের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুপাইভাইজার হিসেবে কর্মরত। বিয়েতে নগদ ৩ লাখ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী অপূর্ব রায় ও তার মা প্রতিমা রায় নিয়মিত মাম্পীকে নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। বুধবার দুপুরে অপূর্ব তার স্ত্রী দীপাকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। এ সময় তারা জানায়, দীপা রায় ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন দীপাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। মৃত্যুর খবর জেনে দীপার মরদেহ জরুরি বিভাগে ফেলে পালিয়ে যায় স্বামী অপূর্বসহ স্বজনেরা। নিহতের পিতা পরিতোষ দেবনাথ জানান, অপূর্ব রায় ও তার মা প্রতিমা রায়ের নামে হত্যা মামলা দায়ের করবেন। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-তদন্ত মো. আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, এখনো মামলা হয়নি। গতকাল জেলা সদর হাসপাতালে মাম্পীর লাশের ময়নাতদন্ত হয়।