× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একেই বলে ভোট

ষোলো আনা

পিয়াস সরকার
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাররা খুঁজে নেন তাদের নেতা। নির্বাচনে জয়ী নেতারা কাজ করেন সকলের জন্য। আর যোগ্য নেতা নির্বাচনের জন্য চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। চাই ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। এমনি এক নির্বাচন হয়ে গেল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কমিউনিকেশন ক্লাবে। দিনভর ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।

নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১৮৩। এর মধ্যে অনার্সে শিক্ষার্থী ১৬১ ও মাস্টার্সে ২২ জন।
ভোট পড়েছে ১২৭, অর্থাৎ ৬৯ শতাংশ। এই ক্লাবের নির্বাচনে তিনটি পদের জন্য নির্বাচন হয়। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ।

এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থীদের গড়া একটি ক্লাব। নেতৃত্বের লড়াইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেয়া সময়ে প্রার্থীরা নোমিনেশন পেপার সংগ্রহ করেন, ২৯ ও ৩০শে জানুয়ারি। এরপর নির্বাচন কমিশন থেকে প্রদত্ত সকল নিয়ম মেনে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন তারা। প্রচারের উদ্দেশ্যে তৈরি করেন লিফলেট। নির্বাচনী প্রচারণার পর গত বুধবার হয় নির্বাচনী বিতর্ক। এই বিতর্কে প্রার্থীরা তাদের ইশতেহার পাঠ করে শোনান। ইশতেহার বিশ্লেষণের পর অংশ নেন ভোটারদের প্রশ্নের জবাবে। প্রার্থীদের কাছে ভোটাররা ছুড়ে দেন নানা প্রশ্ন।

এই প্রশ্নের জবাব দেন তারা এবং সেই সঙ্গে ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রার্থীরা। সভাপতি প্রার্থী দুইজনই সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের যুগপূর্তি পালনের প্রতিশ্রুতি দেন।

গতকাল দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনের শুরুতে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক সেলিম আহমেদ ব্যালট পেপারে ক্লাবের সিল দেয়ার মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন।

এরপর শিক্ষার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ভোট প্রদান করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক এনায়েতুর রহমান। এ ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিভাগের কো-অর্ডিনেশন অফিসার শারমিনা হক, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন সভাপতি নাজিরুল ইসলাম মামুন। আর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ক্লাবের কনভেইনিয়র সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌফিক-ই ইলাহী।এই নির্বাচনে ৭৪ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন জাহিদুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল ইসলাম পান ৫৩ ভোট। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আবদুল্লাহ আল রাউফ। আর কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন মেহেদী হাসান শুভ। তিনি পান ৬৪ ভোট ও অপর প্রার্থী নাসিমুল বারী সৌরভ পান ৬২ ভোট। প্রত্যেক প্রার্থীর পোলিং এজেন্টের উপস্থিতিতে ভোট গ্রহণ হয়। ভোট শেষে অমোচনীয় কালির ব্যবহারও ছিল তাতে।


ভোট পোলিং এজেন্টের সামনে স্বচ্ছভাবে ভোট গণনা করা হয়। প্রত্যেক প্রার্থীই নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। নির্বাচিতরা ১ বছরের জন্য ক্লাবের দায়িত্ব পালন করবেন। জয়ীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সকলকে নিয়ে ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর