× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফুলবাড়ীয়া পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকের বেহালদশা

বাংলারজমিন

এনায়েতুর রহমান, ফুলবাড়ীয়া (ময়সনসিংহ) থেকে
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার

 ময়মনসিংহের ‘ফুলবাড়ীয়া থানা পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক’ জরাজীর্ণ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়ে আসছে। মেরামত, সংস্কার ও তদারকির অভাবে স্বাস্থ্য সেবাদান প্রতিষ্ঠানটি মুখ থুবড়ে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বহীনতায় যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ১৯৬৯ সালের ২৫শে অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত এই সেবাদান প্রতিষ্ঠানটি। জানা যায়, ফুলবাড়ীয়া উপজেলা পরিষদের বর্ধিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় ২২শে ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ সালে। এর ১৯ বছর আগে বর্তমান উপজেলা পরিষদের পাশে ১৯৬৯ সনের ২৫শে অক্টোবর ‘ফুলবাড়ীয়া থানা পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন ময়মনসিংহের মহকুমা প্রশাসক (সদর দক্ষিণ) ই.পি.সি.এস  মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। প্রায় ৫১ বছর আগে উপজেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত ক্লিনিকটি মেরামত ও সংস্কারের অভাবে নিজেই রোগী হয়ে গেছে। ১৩ শতক জমির উপরে ৫০ ফুট দৈর্ঘ ৩০ ফুট প্রস্থ ২টি রুম নিয়ে ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু করে।
পরবর্তী সময় বিভিন্ন ইউনিয়নে সেটি ‘ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র’ নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সেই বিল্ডিংগুলোর ডিজাইন আধুনিক সমৃদ্ধশালী। কিন্তু উপজেলা সদরের সেই ক্লিনিক নামীয় প্রতিষ্ঠানটি (বর্তমান ‘ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র’) অযত্ন আর অবহেলায় ব্যবহার অনুপযোগী। ছাদ খসে খসে পড়ছে, নেই কোন পানির ব্যবস্থা, ফ্লোর স্যাঁতসেঁতে, বাইরে নেই কোন সাইনবোর্ড, প্রতিষ্ঠার পর কখনো রং এর আঁচড় পড়েনি। সচল স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কোন লক্ষণই নেই, তারপরও নিয়মিত সেবা দিচ্ছেন কর্মকর্তারা। সেবা নিতে আসা শামছুর রহমান শামীম (৩০) বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ফুলবাড়ীয়া সদরে থাকি কিন্তু এখানে স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া যায় আগে জানা ছিল না। তবে স্বাস্থ্য সেবার সাথে পরিবেশটা গুরুত্বপূর্ণ তাই দ্রুত এটিকে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে রূপ দেওয়া হলে মানুষের কল্যাণে স্বাস্থ্য সেবার কাজে লাগবে। কতর্ব্যরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মাহফুজা আক্তার বলেন, পানি নেই, ছাদের প্লাস্টার ধসে পড়ছে চাকরির সুবাধে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দায়িত্ব পালন করছি। অনেকবার আমার অফিসের স্যার ও ইউএনও স্যারকে বলেছি কিন্তু কোন কাজে আসেনি।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ.কে.এম. মোরশেদুজ্জামান বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ করেছি তারা উপজেলা পরিষদের ভেতরের ক্লিনিকটির সংস্কার কাজ করবে না। আমি বহুবার উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় কমিটির সভায় উক্ত ক্লিনিকের সংস্কার ও একটি নলকূপের কথা বলেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও মহোদয় কথা দিয়েছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। তবে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ছিদ্দিক বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীকে পাঠিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর