× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইটভাটার ভেতরেই বিদ্যুতের টাওয়ার গ্যাসের সঞ্চালন লাইন

বাংলারজমিন

জাবেদ রহিম বিজন/মাহবুব খান বাবুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার

ইটভাটার ভেতরেই বিদ্যুতের টাওয়ার, গ্যাসের সঞ্চালন লাইন। শুধু তাই নয়, সরাইলের শাহবাজপুরে ইটভাটা মালিকদের যথেচ্ছার আরো আছে।  ভেকু দিয়ে নদীর পাড় কেটে মাটি তুলছে তারা ভাটায়। আবার কোন কোন অংশে নদী ভরাট করে ভাটা সম্প্রসারণ করছে। পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া দিব্যি চলছে এসব ইটভাটা। প্রশাসনের বিধিনিষেধেরও তোয়াক্কা নেই। প্রশাসন সিলগালা করেছে, সচল আছে এখানে এমন ইটভাটাও। এই উপজেলায় হাতেগোনা কয়েকটি ভাটা বৈধভাবে চলছে। মোট ৪৪টি ইটভাটার মধ্যে ৩৫টিই অবৈধ।

শাহবাজপুর মৌলভীবাজারের পশ্চিমপাশে তিতাস নদীরপাড়ে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইটভাটা। এসব ইটভাটার মধ্যে মেসার্স আমিন এন্ড কোম্পানি, মেসার্স বলাকা অ্যান্ড কোম্পানি এবং মেসার্স রানা এন্ড কোম্পানির মালিক মো. মিজানুর রহমান। পরিবেশ অধিদপ্তর এবং সরাইল উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়-  তার ভাটাগুলোর মধ্যে  আমিন এবং বলাকার পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। আর কোন রকম কাগজপত্র বা অনুমতি ছাড়াই মিজানুর রহমান রানা নামে আরেকটি ভাটা চালাচ্ছেন। জানা গেছে- এরআগে মিজানুর রহমানের মেসার্স মিজান ব্রিকস এন্ড কোম্পানি নামের একটি ভাটা ছিলো। ছাড়পত্র না থাকায় ২০১৭ সালে এই ভাটাটিকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা পরিশোধ না করে ভাটা মালিক এখন রানা নামে নতুন আরেকটি ভাটা চালু করেছেন।  ইউনিয়ন পরিষদের একটি ট্রেড লাইসেন্স শুধু পুঁজি তার এই ভাটার। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মোসা জানিয়েছেন- অবৈধভাবে পরিচালিত দুটি ইটভাটার বিরুদ্ধেই তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। ২০১৯ সালের ৩০শে ডিসেম্বর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই ভাটা মালিককে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরবর্তীতে ১২ই ফেব্রুয়ারি ভাটাটি সিলগালা করে দেয়া হয়। কিন্তু ২৪শে ফেব্রুয়ারি সরজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মিজানের মালিকানাধীন ৩টি ভাটা চালু অবস্থায় রয়েছে। পুরোদমে চলছে ইট উৎপাদন। নদী পাড়েরও সর্বনাশ করছেন এই ভাটা মালিক। তার ভাটার মাঝখানে রয়েছে কয়েকটি বিদ্যুতের টাওয়ার। গ্যাসের সঞ্চালন লাইন গেছে ভাটার ভেতর দিয়ে। মিজানুর রহমান অবশ্য টাওয়ার ও গ্যাসের লাইনকে কোন সমস্যা মনে করছেন না। ভাটা অবৈধভাবে চালানোর বিষয়ে তার বক্তব্য কোন ভাটারই সঠিক কাগজপত্র নেই। নদী দখল ও পাড় কাটার অভিযোগও অস্বীকার করেন এই ভাটা মালিক। পাশের আমানত ব্রিক ফিল্ডের মালিকও নদীর পাড় ভেকু দিয়ে কেটে মাটি উঠাচ্ছেন। আবার ভাটা সম্প্রসারন করতে নদী ভরাটও করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাও দেখে গেছেন এচিত্র। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে পরিবেশের ছাড়পত্র বা কোন রকম কাগজপত্র ছাড়াই চলছে কালীকচ্ছের মেসার্স রিফান ব্রিকস, মেসার্স নিউ সফল ব্রিকস, মেসার্স আজম ব্রিকস, মেসার্স আজম ব্রিকস-২, মেসার্স ২২২ ব্রিকস, মেসার্স আর এস পি ব্রিকস, মেসার্স পিবিসি ব্রিকস, মেসার্স নিউ আশা ব্রিকস, মেসার্স রূপালী ব্রিকস এন্ড কোম্পানী, মেসার্স এইচ এম এস ব্রিকস, মেসার্স সানু মিয়া ব্রিকস, মেসার্স মঈন ব্রিকস, মেসার্স এশিয়া ব্রিকস, শাহবাজপুরের মেসার্স ইউনিয়ন ব্রিকস লিমিটেড,মেসার্স আমানত ব্রিকস(আহাদ), মেসার্স আমানত ব্রিকস-২, শাহবাজপুর বড়ধীতপুরের মেসার্স আমানত ব্রিকস, মেসার্স আমিন এন্ড কোম্পানি,  মেসার্স মদিনা এন্ড কোম্পানি, রাজাবাড়িয়াকান্দির মেসার্স নিহাদ ব্রিকস, মেসার্স রয়েল ব্রিকস, মেসার্স সুবর্ন ব্রিকস, মেসার্স নিউ মায়ের দোয়া ব্রিকস, মেসার্স দেশ ব্রিক ফিল্ড, কুন্ডা লোপাড়ার মেসার্স মা বাবা ব্রিকস, শাখাইতি দেওবাড়িয়ার মেসার্স মেঘনা ব্রিকস, মেসার্স ভৈরব ব্রিকস, মেসার্স পিভিসি ব্রিকস, মলাইশের মেসার্স নিউ কল্যান ব্রিকস কোম্পানী লিমিটেড, নোয়াগাওয়ের মেসার্স এস আর ব্রিকস, মেসার্স এইচ এম এস ব্রিকস, মেসার্স সানু মিয়া ব্রিকস, দেওড়া নিয়ামতপুরের মেসার্স নিউ ফাইভ স্টার ব্রিকস, দেওড়ার মেসার্স জনপ্রিয় ব্রিকস, শাহজাদাপুরের মেসার্স নিউ সমতা ব্রিকস এন্ড কোম্পানী। এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুল আমিন বলেন- শাহবাজপুরের ওই ইটাভাটাগুলো আমি পরিদর্শন করেছি। তাদেরকে নদীর পাড় দখলমুক্ত করতে বলা হয়েছে। যদি তারা সেটি না করেন তাহলে পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়নের সুপারিশ করা হবেনা। তাছাড়া যেসব ইটভাটার কোন কাগজপত্র নেই সেগুলো অবৈধ। তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর