× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গবেষণায় তথ্য / সার্সের চেয়ে হাজার গুণ শক্তিতে আক্রমণ করে নতুন করোনা ভাইরাস

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০, শনিবার, ২:৫২ পূর্বাহ্ন

সার্স ভাইরাসের চেয়ে ১০০০ গুণের বেশি শক্তিতে মানুষের শরীরকে আক্রান্ত করতে পারে করোনা ভাইরাস। বিজ্ঞানীরা এ সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, এইডস সৃষ্টিকারী এইচআইভি ও ইবোলা যেমন শরীরকে প্লেগের মতো আক্রমণ করে, একই রকমভাবে আক্রমণ করতে পারে করোনা ভাইরাস। এতে মানুষের শরীরের কোষকে একই রকমভাবে আগ্রাসী উপায়ে সংক্রমিত করতে পারে এই ভাইরাস। সর্বশেষ এই সতর্কতা দিয়েছেন চীনের তিয়ানজিনের নানকাই ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিতদের মধ্যে প্রায় ৩০০০ মানুষ মারা গেছেন। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের অনলাইন ডেইলি মেইল।

এতে বলা হয়েছে বিশেষজ্ঞরা প্রথম দিকে মনে করেছিলেন নতুন করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর আগে ২০০২/৩ সালে ছড়িয়ে পড়া সার্স ভাইরাসের মতো ছড়ায়। কারণ, নতুন করোনা ভাইরাসটি অনেকাংশে জেনেটিক্যালি সার্স ভাইরাসের মতো।
কিন্তু তারা গবেষণায় দেখেছেন, তাদের এ ধারণা ভুল। এইচআইভি এবং ইবোলার চেয়েও অধিক আগ্রাসী রূপ নিয়ে মানুষের দেহে আক্রমণ করে করোনা ভাইরাস। ফলে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যতটুকু ছিল তার চেয়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ১০০ থেকে ১০০০ গুন বেশি। ২০০২ সালে সেভার একিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সার্স ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮০০০ মানুষ। মারা গিয়েছিলেন ৭৭৪ জন। কিন্তু নতুন করোনা ভাইরাস সঙ্কট শুরু হয়েছে মাত্র দু’মাস। এরই মধ্যে এতে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৮২০০০ মানুষ। মারা গেছেন প্রায় ৩০০০ ।

মুখ, নাক ও চোখের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার পরে সার্স ভাইরাস এসিই-২ নামের একটি গ্রহীতা প্রোটিনের সঙ্গে মিশে আক্রমণ চালায় মানবদেহে। তবে সুস্থ মানুষের দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে এসিই-২ থাকে না। ফলে ২০০২ সালে সার্স ভাইরাসের বিস্তার সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে। নানকাই ইউনিভার্সিটির গবেষকরা কোভিড-১৯ ভাইরাসের জিন সিকুয়েন্স নিয়ে গবেষণা করেছেন। তারা দেখতে পেয়েছেন, এতে রূপান্তরিত জিনের একটি অংশ আছে, যা সার্স ভাইরাসের মধ্যে নেই। পক্ষান্তরে এর মিল রয়েছে এইচআইভি এবং ইবোলার সঙ্গে।

এইচআইভি এবং ইবোলায় একটি ঘুমন্ত প্রোটিন বহন করে। একে সক্রিয় করতে হলে শরীরে নিঃসৃত হতে হয়। এইচআইভি এবং ইবোলা একটি এনজাইমকে টার্গেট করে। এর নাম ফিউরিন। ওই প্রোটিন নিঃসরণ ঘটানোর জন্য দায়ী ফিউরিন। দেহে এই প্রোটিন প্রবেশ করার পরই তাকে সক্রিয় করে তোলে সে। এই ভাইরাস ফিউরিনকে তাই আক্রমণ করে। ফলে সে ওই প্রোটিনকে সক্রিয়া করে তোলে। এতে সরাসরি ভাইরাস ও মানব কোষে মিশ্রণ ঘটে। কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসও একইভাবে কাজ করে।

বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণাপত্রে বলেছেন, সার্স করোনা ভাইরাস যেভাবে সংক্রমণ ঘটাতো নতুন করোনা ভাইরাস তার থেকে অনেকটা অন্যভাবে সংক্রমিত করতে পারে বলে বলছে গবেষণা। তারা লিখেছেন, দেহে সার্সের প্রবেশের তুলনায় নতুন করোনা ভাইরাস ১০০ থেকে ১০০০ গুন বেশি কার্যকরভাবে আক্রমণ করে। এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে  ঈযরহধীরা.ড়ৎম  ওয়েবসাইটে। এই প্লাটফরমটি ব্যবহার করে চায়না একাডেমি অব সায়েন্সেস।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর