× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১২ই মার্চ সারা দেশে মানববন্ধন /মোদিবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল বায়তুল মোকাররম

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৭ মার্চ ২০২০, শনিবার

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে ঢুকতে না দেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ওলামা মাশায়েখরা। দেশের সম্মিলিত ৪৮ টি ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তরগেটে এক সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দেন। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ঢাকায় মোদির সফর ঠেকাতে ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ আগামী ১২ই মার্চ বিকালে ঢাকাসহ সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। কর্মসূচির অংশ হিসাবে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে গাবতলী এবং  সদরঘাট থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মানব প্রাচীর করে তারা মোদির বাংলাদেশের আগমনের প্রতিবাদ জানাবে ওলামা মাশায়েখরা। বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে যদি বাংলাদেশ সরকার মোদির সফর বাতিল না করে তাহলে তারা ওইদিন আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিবেন। তারা যে কোন মূল্যে ঢাকায় মোদির আগমন ঠেকাবেন। নেতৃবৃন্দ ভারতে মুসলীম হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ, ওআইসি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল জুমার নামাজের আগে থেকেই হেফাজতে ইসলামসহ আরও অন্যান্য ইসলামী দলের নেতাকর্মীরা তাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জড়ো হন।
এসময় তাদের হাতে বিভিন্ন প্লাকার্ড বহন করতে দেখা যায়। জুমার নামাজ শেষ হওয়ার পর তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেখানে থেকে তাদের বিশাল একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, কালভার্ট রোড, নাইটিংগেল মোড়,  কাকরাইল  মোড়, বিজয়নগর হয়ে বায়তুল মোকাররম এসে শেষ হয়। মিছিলটি কাকরাইল পার হয়ে মালিবাগের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। এসময় পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজান ছড়িয়ে পড়ে। ওই এলাকায় আলাদাভাবে দুইটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হেফাজতের নেতৃত্বে বিজয়নগরের হোটেল ৭১ এর সামনে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও আরেকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে। সমাবেশের কারণে পল্টন মোড়সহ আশপাশের এলাকায় ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও যানযট দেখা দেয়। ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।

সমমনা ইসলামী দলের ব্যানারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরীর আমীর  আল্লামা নূর হোসাইন কাশেমী বলেন, নরেন্দ্র মোদিকে বাংলার জমিনে আসতে দেয়া হবে না।
যেকোনো মূল্যে তার আগমন প্রতিহত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ১২ই মার্চের মানববন্ধনে আমরা মোদির ঢাকায় আগমন ঠেকাতে মাঠে থাকবো। ওই মানবন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটের ছাত্র, সরকারি কর্মচারি ও তৌহিদী জনতাকে অংশগ্রহনের আহ্বান জানাচ্ছি। ওইদিন আমাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বাচ্চু বলেন,  ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর মোদি সরকার নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। সারা বিশ্বের শান্তি প্রিয় মানুষ আজকে মোদির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশে সম্প্রীতির সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে, সেই সময় কোনোভাবেই মোদিকে এখানে ঢুকতে দেয়া হবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে ঢাকায় মোদির আগমন ঠেকাবো। প্রয়োজনে বিমানবন্দর ঘেরাও করা হবে।

সমাবেশে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  সম্মিলিত উলামা-মাশায়েখ পরিষদের সমন্বয়ক ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা জাফরুল্লাহ খান,  ইসলাহুল মুসলিলিমিন সভাপতি মুফতি আবুল বাশার, আল কুরআন ফাউন্ডেশন সভাপতি মুফতি জামাল উদ্দীন ও জমিয়াতে উলামা দেওবন্দ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহাদ্দেস আবদুলাহ কাসেমী প্রমুখ। এদিকে, সমাবেশ উপলক্ষে গোটা বায়তুল মোকাররম এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে পুলিশ। সাদা পোশাকেও ছিল পুলিশের বিশেষ নজরদারি। পূর্ব কর্মসূচি হওয়ার কারণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গোটা এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে। পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা, নাইটিংগেল মোড় ও নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। সকাল থেকেই বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের রায়টকার ও জলকামান মোতায়েন থাকতে দেখা যায়। এছাড়াও সড়কের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছিল পুলিশ।
এ বিষয়ে পুলিশের মতিঝিল জোনের এসি জাহিদুল ইসলাম সোহাগ  জানান, ইসলামী দলগুলো পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর