× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লেগুনাতেও ফ্যান্টাসি খোঁজে তারা

ষোলো আনা


৮ মার্চ ২০২০, রবিবার
ফাইল ছবি

আজ নারী দিবস। কিন্তু বাস্তবে নারীরা কতোটা সাবলীল? আমাদের সঙ্গে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা এখন নিত্যদিনের ব্যাপার। যেগুলোকে আমরা আর সমস্যাই মনে করি না। রাস্তাঘাটে বন্ধুদের দ্বারা কটু কথা কিংবা সিদ্ধান্ত নিতে না পারা এগুলো সাধারণ হিসেবেই ধরে নিয়েছি। এমনকি আমাদের মনে দাগ কেটে গেছে একা বের হওয়া, বেশি রাত অবধি বাইরে থাকা বারণ। আমাদের সমাজ এই বিষয়টাকে স্বাভাবিক করে তুলেছে।

এছাড়াও কিছু অস্বাভাবিক বিষয়কে ভেবে পিছিয়ে পড়ছি আমরা। যেমন আমার এক বান্ধুবী কিছুদিন আগে ভীষণ জ্বরে ভুগছিল। রাতের বেলা আঁতকে উঠতো সে।
তাকে দেখতে যাই। তখন সে আমাকে বলে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসায় ফেরার সময় বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। বাসে ওঠার আগ মুহূর্তে তার বুকে হাত দিয়ে পালিয়ে যায় অপরিচিত এক যুবক। সেখানে অনেকেই দাঁড়ানো ছিল। প্রতিবাদ না করে এমন করে তাকিয়ে ছিল যেন আমার বান্ধুবীই অন্যায় করেছে। এমনই এক অবস্থা সে শুধু ঘটনাটা আমাকে বলে, তার মাকেও বলতে পারেনি।

আজ ২০২০। এই তথ্য-প্রযুক্তির যুগে নারীরাও সমানতালে এগিয়ে গেছেন। কিন্তু তথ্য-প্রযুক্তির স্বাধীনতা হলেও আমরা আজও সড়কে অনিরাপদ। যে বন্ধুকে আমি ভাই ভাবি সেই বন্ধুটাও আড় চোখে দেখে আমায়। আজও লেগুনায় ওঠার সময় দেখি অপরিচিত পুরুষটি একটু বেশিই গা ঘেঁষে বসছে। লেগুনায় শরীর লাগবেই কিন্তু সেটাতেই তারা ফ্যান্টাসি খুঁজে নেয়। আমি সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, নারী এবার তুমি তিতা হও। প্রতিবাদ করো, চিৎকার করো। দেখবে তোমার পক্ষে কথা বলার মানুষ খুঁজে পাবে। আর চিৎকার না করলে দেখবে চারপাশে শুধুই আড় চোখা পুরুষ।


ফারজানা সিদ্দীক, শিক্ষার্থী ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর