বিশ্বের বড় বড় দেশের কর্তাব্যক্তিরা এটাকে তুলনা করছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি হিসাবে। এটাতো এক অবিশ্বাস্য এবং অবিস্মরণীয় মহাযুদ্ধই। নাইলে কেউ দু:স্বপ্নেও ভাবছিলো আলো ঝলমলে সব বড় শহর ফাঁকা মরুদ্যান হয়ে যাবে? আর লোকেরা ঘরে বসে দিন গুজরান করবে?
আমরাও আসেন এটারে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি হিসাবেই লই। নিজের হাতের সাথে যুদ্ধ করি, হাত পরিষ্কার রাখার যুদ্ধ। নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করি, ঘুরতে না যাওয়ার, বেশি মানুষ এক জায়গায় না হওয়ার, আড্ডাবাজি না করার যুদ্ধ। বাঁইচা থাকলে এইসবই করতে পারবো।
আর সরকারের বন্ধুরা, আসেন করি টেস্টিং কিট সংগ্রহ করার যুদ্ধ, প্রতিটা হাসপাতালে করোনা মোকাবিলা ইউনিট বানানোর যুদ্ধ, ডেসিগনেটেড নার্স এবং ডাক্তারের দল বানানোর যুদ্ধ, লোকজনরে ঘরের ভিতর রাখার যুদ্ধ। পনেরো দিনের ছুটি দিয়া আন্তজেলা যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে কী হয়? সেনাবাহিনী মাঠে নামাইয়া মানুষের মুভমেন্ট জিরোতে নিয়া আসলে কী হয়? কি কি সাপোর্ট সিস্টেম চালু করলে ঘরে থাকলেও মানুষের খাওয়ার কষ্ট হবে না সেই প্রোগ্রাম নিলে কী হয়?
যুদ্ধ হইলেতো এইসবই হইতো নাকি?
শত্রু ঢুইকা পড়ার আগেই প্রস্তুতি হওয়া মানেই যুদ্ধ জয়।
আসেন জিতি। কারণ এছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো অপশন নাই।
(লেখক: চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখাটি তার ফেসবুক ওয়াল থকে নেয়া।)