প্রথমেই বলবো পৃথিবী ভালো নেই। তাই আগের জৌলুস ফিরে পেতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। চীনে ২ মাস পর বসন্ত অনুভব করছি। নেনচাং শহরে রোদের মতোই ঝলমলে। মানুষ ছুটে যাচ্ছে কাজে। প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসছে চীনের অবস্থা। আশা করছি এপ্রিলের মধ্যেই সমস্যা কাটিয়ে উঠবে।
চীনে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরই সবাই সচেতন হয়ে গেছে। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়নি।
মাস্ক ব্যবহার করছেন এখনো। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা তো থাকছে। শহর লকডাউন। যানচলাচল ও দোকানপাট বন্ধ। এই সময়ে সুস্থ রাখা এবং সচেতন থাকার বিকল্পও ছিল না।
প্রশাসন কঠোরভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। কেউ বাইরে বের হলে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়। তাপমাত্রা বেশি হলে হাসপাতালে পাঠানো হয় তাদের। যারা অসুস্থ হয়ে বাসায় ছিলেন তাদেরকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা সবাই আইন মেনেছে।
জন্মস্থান বাংলাদেশ নিয়ে বলতে চাই, আমাদের দেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। একজন অসুস্থ হলে পরিবারসহ আশেপাশের অনেকেই অসুস্থ হতে পারে। শনাক্তকরণের জন্য পর্যাপ্ত কিটের ব্যবস্থা এখনই করতে হবে। মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা নিজেকে সচেতন হতে হবে।