× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইতালির ডিজাস্টার থেকে কী শিখতে পারি

ফেসবুক ডায়েরি

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
২২ মার্চ ২০২০, রবিবার

নিউইয়র্ক টাইমসে একটা খুব জরুরি লেখা বেরিয়েছে যেটাতে বলা হয়েছে পৃথিবী ইতালির ডিজাস্টার থেকে কী শিখতে পারে। এবং চীন, ভিয়েতনাম, হংকং, কোরিয়া এদের সাফল্য থেকেও একই জিনিস শেখা যায়।
১. লক ডাউন করতে হবে দ্রুততার সাথে এবং নিশ্চিদ্র। গাড়ী-ঘোড়া অফিস আদালত সব বন্ধ করে দিতে হবে একসাথে। ধাপে ধাপে বন্ধ করাটা ভাইরাস ঠেকানোর ক্ষেত্রে অকার্যকর। কেবলমাত্র সেগুলাই খোলা থাকবে যেগুলা জীবন ররক্ষাকারী। খাবার দাবার, ওষুধ- এইরকম।

২. রাজনৈতিক নেতারা বিপদটাকে হালকা করে দেখাতে পারবে না। উদাহরণ হিসাবে ইতালির রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে বারের ভিতর মদের গ্লাস হাতে একজনের একটা ছবি পোস্ট করে “মিলান তার স্বাভাবিক রুটিন বদলাবে না” লেখাসহ বেশ কিছু নমুনা পেশ করেছে। যেগুলো থেকে মানুষ বিপদকে হালকাভাবে নেয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছে।
৩. সঠিক, ব্যাপক এবং স্বচ্ছভাবে টেস্ট করতে হবে।
ইতালির লোম্বর্ডি রিজনে যখন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তখন সরকারী মন্ত্রীরা ধিক্কার দিয়ে বলছে, এতো মানুষের টেস্ট কেনো করানো হচ্ছে, এতে ইতালির ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অর্থনীতির উপর চাপ তৈরি হবে। এই আত্মবিধ্বংসী ভুল না করে টেস্ট করাকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। সঠিক তথ্যই বিপদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে, তথ্য গোপন নয়।

৪. এক পর্যায়ে ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে ট্রেন বা বিমানযোগে মিলান থেকে বের হওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। যেটাকে তারা ইতালীজোড়া “কনটাজিয়নের ঢেউ” বলছে। এটা না করে যে যেখানে আছে সেখানেই রাখতে হবে। (বলা বাহুল্য, কী এক অদ্ভুত কারনে এই ঢেউয়ের একটা বড় অংশ আমরা গ্রহন করেছি। করলামই যখন যদি এদেরকে সশস্ত্র বাহিনীর জিম্মায় কোয়ারান্টাইনে দিতাম, তবুও বাঁচা যেতো।)
যাই হোক, মিলিয়ে দেখুন আমরাও এরকম ভুল করছি কিনা। করলে আর এক মুহূর্তও দেরী না করে সংশোধন করি চলেন। হাসপাতাল ব্যাবস্থাপনার জন্য সেনাবাহিনী এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে দল বানান। চীনা বা কিউবান ডাক্তারদের সাহায্য নেন, সরঞ্জাম আনান। আর সিটি কর্পোরেশনগুলা সকাল বিকাল ডিজইনফ্যাকট্যান্ট ছিটান, প্রতিটা রাস্তায়, মাঠে, প্রতি কণা জায়গায়। ভাইয়েরা, ব্যবস্থা নেন। কারণ এটা এই দল ঐ দলের ব্যাপার না, সবার বেঁচে থাকার মতো জরুরি ব্যাপার। এই লড়াইয়ে সবাই যাত্রী এক তরণীর। তাই আসেন সবাই সবার পাশে দাঁড়াই। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সুশীল, অশীল, সশস্ত্রবাহিনী, নিরস্ত্রবাহিনী, বড়লোক, ছোটলোক- সবাই মিলেই বাঁচতে হবে।
কারণ ভাইরাস কোনো বৈষম্য করে না।

(এই বিপদ কাইটা গেলে তখন আবার আমরা বিরোধ করার, এ ওকে দোষ দেয়ার, টেনে ক্ষমতা থেকে নামানোর বা ক্ষমতায় উঠার সুযোগ পাবো।)
(লেখক: চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখাটি তার ফেসবুক টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত)
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর