খোশ আমদেদ মাহে রমজান

রমজানের আরেক বার্তা সহানুভূতি

মাওলানা এম.এ.করিম ইবনে মছব্বির

২০২০-০৪-২৮

রমজান মাস পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি ও নিজেকে শুদ্ধ করার বার্তা নিয়ে আসে। এ মাসে মুমিনদের রিজিক বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, যে ব্যক্তি রােজাদারদের ইফতার করাবে, তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে  নবী করিম (সা:) বলেছেন, রমজান হল সহানুভূতির মাস। গরীব, দুঃখীদের প্রতি নম্র ব্যবহার করবে। নিজের ইফতারির জন্য দশটি জিনিস তৈরি হলে তাদের জন্য কমপক্ষে দুই চারটা ব্যবস্থা করবে।
সহানুভূতি ও আত্মত্যাগের অসংখ্য ঘটনা সাহাবায়ে কেরামদের জীবনে পরিলক্ষিত হয়। যা দেখে হতবাক হতে হয়। একদিন সাহাবায়ে কেরামগণ নবী করিম (সা:) কে আরজ করলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমাদের মাঝে সকলে তাে রােজাদারদের ইফতার করানাের সামর্থ্য রাখেন না। প্রিয় নবী (সাঃ) বললেন, শুধুমাত্র একটি খেজুর বা একটু দুধ বা পানির শরবত দিয়ে ইফতার করালেও চলবে। যে ব্যক্তি তার অধীনস্থ লােকদের প্রতি সদয় ব্যবহার করে তাঁর গােনাহ সমূহও মাফ করে দেয়া হয়।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসুলে পাক (সাঃ) সমগ্র মানব জাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় উদার ও দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে হযরত জিব্রাঈল (আঃ) যখন নিয়মিত আসতেন তখন নবী করিম (সাঃ) -এর দানশীলতা আরাে বহুগুণে বৃদ্ধি হয়ে যেত। (বুখারী ও মুসলিম)। রাসুল (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নিজের পেট ভরে আহার করে অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকে, সে প্রকৃত ঈমানদার নয়। (বায়হাকী)।
রাসুলে পাক (সাঃ) উম্মতদের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে রমজান মাসে সদকা, খয়রাত ও সাহায্যের হাত বেশি করে প্রসারিত করতেন। এ মাসটিকে মহানবী (সাঃ) দানশীলতার ব্যাপারে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আজ চতুর্থ রমজানের দিন। আসুন  আমরা বৈশ্বিক দুর্যোগময় মুহুর্তে পবিত্র মাহে রমজানে একে অপরের প্রতি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেই।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status