× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ছোট্ট সিজদার কারিশমা

ষোলো আনা

মালিহা নক্ষত্র
২৪ জুলাই ২০২০, শুক্রবার

ছোট্ট সুবহা সাফায়েত সিজদা। সবে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। মির্জা পলাশ এবং নাফিসা আক্তার দম্পতির একমাত্র সন্তান। ছোট্ট বয়সেই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় ও মিষ্টি কথায় মন জয় করেছেন অনেকের। এই বছরের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় সিজদার একটি ভিডিও।
সুমিষ্ট বাচনভঙ্গি, চিন্তা ভাবনা মানুষকে মুগ্ধ করে। কথাগুলো স্পর্শ করে মানুষের হৃদয়। বর্তমানে সে ভিডিও ও ফেসবুক লাইভে মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয়ার চেষ্টা করেছে। করোনাকালীন সময়ে দেশের প্রেক্ষাপটসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার মতামত বেশ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে সকলের মাঝে।
গত মঙ্গলবার মুঠোফোনে সিজদা জানায়, সে বড় হয়ে একজন সায়েন্টিস্ট এবং মোটিভেশনাল স্পিকার হতে চায়।
সেবা করতে চায় দেশ-বিদেশের মানুষের। এই ভিডিওগুলো তৈরিতে তার মা-বাবার অবদান অনেক। বাবা-মা তাকে বিভিন্নভাবে অনুপ্রাণিত করে।
সিজদা বলে, এখন আমাদের অনলাইনে ক্লাস হয় তাই দিনের অর্ধেকটা সময় ক্লাস নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। অবসর সময়ে ছবি আঁকি, খেলাধুলা করি। সবার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতেও ভালোবাসি। বাড়িতে এভাবে থাকতে তার ভালোই লাগে। মা-বাবা পরিবারের সঙ্গে এভাবে সময় কাটানো খুব একটা হয়ে ওঠে না। অনলাইন ক্লাস করতে কেমন লাগে এই  প্রশ্নের উত্তরে সিজদা বলে, বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে এটা অবশ্যই খুব ভালো দিক কিন্তু দিনের অনেকটা সময় আমরা এই কম্পিউটার, ল্যাপটপ মূলত ডিভাইসের সামনে বসে কাটাচ্ছি। যা আমাদের স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর।
সাম্প্রতিক সময়ে সিজদা কাজ করছে একটি বিজ্ঞাপনে। এ ছাড়াও ভয়েস অফ আমেরিকার মতো আন্তর্জাতিক প্লাটফরমেও দিয়েছে সাক্ষাৎকার। সিজদা বলে, একদিন পৃথিবীটা সুস্থ হবে। আবার খোলা আকাশের নিচে মুক্ত বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিবো। খোলা মাঠে দৌড়াবে নিজের স্বপ্ন পূরণের আশায়। এরপর একদিন রেস্টুরেন্টে গিয়ে অনেক আইসক্রিম খাবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর