× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বাস্থ্যসেবায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন মিতালী

বাংলারজমিন

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
১১ আগস্ট ২০২০, মঙ্গলবার

স্বাস্থ্যসেবায় আন্তর্জাতিক গ্লোবাল হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি নার্স মিতালী রানী কর্মকার। তিনি ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (এনআইসিভিডি) তে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন। গত ২৮শে জুন লন্ডন ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটেরিয়ান ড্রাইভ অফিস থেকে আন্তর্জাতিকভাবে এই স্বীকৃতি দেয়া হয়। এই ইভেন্টে ৫০টি দেশের ৬০ হাজার প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। করোনায় ফ্রন্টলাইন ফাইটার্স হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা হয়। তাকে এই পুরস্কারে মনোনীত করা হয়েছে। ১২ ক্যাটাগরিতে মেডিকেল সার্ভিস রয়েছে ১ম ক্যাটাগরিতে।
মিতালী রানী কর্মকার ২০১৬ সালে সরকারি চাকরিতে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে যোগদান করেন।
দেশে করোনা মোকাবিলায় তিনি ২৭শে এপ্রিল থেকে কুয়েতে মৈত্রী হাসপাতালে করোনা আইসোলেশনে নার্স হিসেবে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত আছেন এবং করোনা রোগীর সেবা দিতে গিয়ে ১৫ই মে নিজেই করোনায় আক্রান্ত হনঅ। মিতালী কর্মকার ২৭শে মে করোনা নেগেটিভ আসার পরে পরবর্তীতে গত ১৪ই জুন পূনরায় করোনা আইসোলেশনে কাজ শুরু করেন। নার্সিং পেশার পাশাপাশি তিনি নানা সমাজ সংগঠনমূলক কাজে জড়িত। তিনি সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি এন্ড রাইটসের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে করোনা মোকাবেলায় নানা উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিতালী কর্মকার বলেন, এটা তার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। করোনা মোকাবিলায় তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরষ্কার তার কাজের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনা মোকাবিলায় তিনি সর্বোচ্চ নার্সিং সেবা দিতে দেশের সকল নার্সদের প্রতি অনুরোধ জানান। উল্লেখ্য, মানবতার পক্ষে সেবা প্রচার করা এই তারাগুলিকে সম্মান জানাতে ডব্লিউএইচডি গর্বিত। এই ইভেন্টের প্রধান লক্ষ্য ছিল অবিশ্বাস্য স্বেচ্ছাসেবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সম্মান প্রদর্শন করা যারা সর্বদা বিশেষত কোভিড-১৯ এর সঙ্কটের সময়ে মানবতার উন্নতিতে অবদান রেখে চলেছে। যখন পুরো বিশ্বটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং বাইরে বেরোনোর ভয় পেয়েছিল তখন এই তারাগুলি বিশ্বকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সাহায্যের হাত দেয়া। এই ইভেন্টের জন্য মনোনয়ন প্রক্রিয়াটি গত ২২শে এপ্রিল শুরু হয়েছিল। সাতটি মহাদেশ থেকে এই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জনে সাতটি মহাদেশ থেকে ১৬০০টিরও বেশি মনোনয়ন পেয়েছিল। অনলাইন সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৮শে জুন। এছাড়াও মিতালী রানী কর্মকার অধ্যয়নরত অবস্থায় টাঙ্গাইল কুমুদিনী থেকে ভালো ফলাফল অর্জন করেন। এ ফলাফলের জন্য নির্মলা ফাউন্ডেশন থেকে নির্মলা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। মিতালী রানী কর্মকার বাবা মায়ের জৈষ্ঠ্য কন্যা। এছাড়াও তার এক ভাই এক বোন রয়েছে। তার পিতার নাম স্বর্গীয় রতন কর্মকার। তার বাড়ী কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর গ্রাম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর