× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘প্রকল্পে অস্বাভাবিক খরচ আর মানা হবে না’

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) আগস্ট ১৩, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৫:৫৯ পূর্বাহ্ন

সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে অস্বাভাবিক বা বাড়াবাড়ি খরচসহ বেশকিছু বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ ৩০ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বৈঠকে তারা প্রকল্পে কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক খরচের কথা স্বীকার করে বলেছেন, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এসব বিষয় আর মেনে নেয়া যাবে না বলেও একমত হয়েছেন তারা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ৩০ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

পরে দুপুর ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, আমরা সবাই একমত হয়েছি যে, করোনার জন্য নয়, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যেকোনো পরিস্থিতিতে আমাদের পরিহার করতে হবে। এটা অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন সময় আমি শেয়ার করেছি। তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
তিনি আমাদের এ সমন্ধে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, এগুলো গ্রহণ করবেন না। আমাদের কাছ থেকে শোনেন, তা নয়। তার (প্রধানমন্ত্রীর) নিজের নজরেও আসছে। বিশেষ প্রকল্পের রিভিশন নিয়ে তিনি প্রায়ই প্রশ্ন করেন, এত রিভিশন কেন করেন। প্রথমে বললেন দু-তিন বছরের প্রকল্প। তারপর এক বছরের মাথায় এসে বলেন, চার বছর লাগবে। আরেক বছর পর আবার এসে বললেন ব্যয় বাড়াতে হবে। এগুলো তিনি মনে করেন যে, শৃঙ্খলাবিরোধী। এটা আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

এম এ মান্নান আরো বলেন, সরকারের অর্থ নয়, জনগণের অর্থ। জনগণের অর্থ যদি অপচয় হয় বা খরচ বেশি করি– এটা গ্রহণযোগ্য নয়। করোনা হোক বা না হোক, কোনো সময়ই জনগণের অর্থ নিয়ে ‘নয়-ছয়’ হতে দেয়া যাবে না, এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা সবাই স্বীকার করি যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি আছে। ভুল হোক বা হিউম্যান এরর হোক, হিউম্যান এরর হিসেবে নেব। কিন্তু রিপিটেড হিউম্যান এরর তো গ্রহণযোগ্য নয়। সবাই মিলে আলোচনা করেছি, কীভাবে এটাকে উতরে আসা যায়, এ বিষয়ে আমরা সবাই মিলে একমত হয়েছি, আমরা যার যার অবস্থান থেকে এটা মোকাবিলা করবো। এ বছর থেকে কাজ শুরু করলাম, নতুন প্রকল্পগুলোর জন্য আমরা অনেকটা স্ট্রিনজেন হবো। প্লানিং কমিশনে আমরা মোস্ট স্ট্রিনজেন হবো। যারা প্রকল্প তৈরি করবে, তারা আগের তুলনায় অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করবেন। যাতে এ ধরনের কাজ আগামীতে যেন আর না হয়।

তিনি বলেন, একজন লোকের কাছে চারটা, পাঁচটা, ছয়টা প্রকল্প। ১০টা প্রকল্পও পাওয়া গেছে। এটা আমাদের সার্কুলারবিরোধী, বিধানবিরোধী। তারপরও করে যাচ্ছি এটা। সুনামগঞ্জের প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক ঢাকায়। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা আগেও আলোচনা করেছি। আবার আলোচনা করছি। বারবার করে এটাকে আমরা শোধরাবার চেষ্টা করছি। শোধরানো দরকার। এ সমন্ধে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা একমত হয়েছি, এসব বিষয় আর মেনে নেয়া যাবে না। এগুলো শোধরানোর জন্য আমরা সবাই আবার একসঙ্গে কাজ করবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর