× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সমস্যা কি তাইলে বোরকায়?

ফেসবুক ডায়েরি

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, সোমবার

আসল সমস্যাটা কোথায় ? বোরকায় না আবহমান কালের বাঙালীয়ানায়? এবার প্রশ্ন “আবহমান কালের বাঙালীয়ানা” কোনটা? ব্যাপারটা কি এমন যেটা এতো কাল ধরে সাধারণভাবে বাংলাদেশে চলে আসছে? তো বাংলাদেশে তো একসময় কালচার ছিলো মেয়েরা সন্ধ্যার পরে ঘরের বাইরে যাবে না! মেয়েদের পনেরো বছর হইলে বিয়ে দিয়ে স্বামীর ঘরে পাঠাইয়া দিতে হবে! মেয়েরা চাকরি করতে পারবে না! তারও আগে ছিলো সতীদাহ প্রথা! আমরাতো সেইসব কালচাররে ঝাড়ু পিটা কইরা তাড়াইয়া দিছি! নাকি? তার মানে আবহমান কালের বাঙালীয়ানাটা ধইরা না রাখলেও আমাদের মধ্যবিত্ত কালচারাল পুলিশদের সমস্যা নাই! সমস্যা কি তাইলে বোরকায়? কারণ এটা মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসছে? তো আমরা কি বাইরের কিছু নিবো না? তাইলে তো সালওয়ার কামিজ, প্যান্ট-শার্ট, শর্ট এগুলাও আমাদের বাতিল করতে হয়! নাকি? এক সময় এই বাকোয়াজ পাহারাদারগুলা রক-পপ মিউজিকরে অপসংস্কৃতি বইলা চুঙ্গা ফুঁকাইছিলো দিনের পর দিন! আবহমান শুনলেই তাই আমি চশমার ফাঁক দিয়া একটু ভালো কইরা তাকাইয়া দেখি!
আমার অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে কোনটাতেই সমস্যা নাই! বোরকাতেও নাই, বিকিনিতেও নাই! যতক্ষণ পর্যন্ত জবরদস্তি না হচ্ছে!  আগেও বলছি, যে হুজুর ফতোয়া দেয় নারী প্যান্ট-টি শার্ট পরতে পারবে না, হেন করতে পারবে না, তেন করতে পারবে না, তার সাথে আমাদের কিছু লিবারেলদের খুব পার্থক্য পাই না, যখন তাদের বোরকা নিয়া ফতোয়া শুনি! তখন আমার ইনাদেরকে একেকজন সেক্যুলার আমির হামজা মনে হয়!
আমাদের পরের প্রজন্ম এইসব পেটি এবং ফালতু জ্ঞানালাপ থেকে আশা করি দুরে থাকবে! তাদের মন চাইলে শর্ট পইরা ঘুরবে, মন চাইলে আপাদমস্তক ঢাইকা ঘুরবে!! তার গা ঢাকা বা খোলা রাখার কারণে  তাকে আমরা আলাদা করে জাজ করবো না, বৈষম্য করবো না- এইটুকু আলো আমাদের দাও গো সাঁই!
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর