× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইন্ডিপেন্ডেন্টের রিপোর্ট / জেএন্ডজের সিঙ্গেল ডোজ পরীক্ষা শুরু

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার

জনসন অ্যান্ড জনসনের (জেএন্ডজে) করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম সিঙ্গেল-ডোজ চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারে কিনা তা পরীক্ষার জন্য সিঙ্গেল-ডোজ প্রয়োগ করে এর কার্যকারিতা যাচাই করছে জনসন অ্যান্ড জনসন। এ যাবৎকালের মধ্যে বিশ্বে সবচেয়ে বড় আকারে করোনাভাইরাসের এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে বুধবার। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বো, মেক্সিকো এবং পেরুতে ৬০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর চালানো হচ্ছে এই পরীক্ষা। মডার্না ইনকরপোরেশন এবং ফাইজার ইনকরপোরেশনসহ আরো বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের টিকা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশগুলোতে এরই মধ্যে চূড়ান্ত দফার পরীক্ষায় অবতীর্ণ। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্যে অন্তত একটি টিকার পরীক্ষা বছর শেষ হওয়ার আগেই অথবা তারও আগে যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হতে পারে। সেখান থেকে একটি উত্তর পাওয়া যেতে পারে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথের পরিচালক ড. ফ্রাঁসিস কলিন্স বলেছেন, টিকার বিষয়ে আমরা নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা ত্যাগ না করে সবটাই করতে চাই। তবে অনেক টিকা বিশেষজ্ঞ প্রশ্ন তুলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন থেকে তীব্র চাপের মুখে সেই লক্ষ্য অর্জনে অবিচল থাকবে কিনা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) বিশেষজ্ঞরা পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষার পর টিকা অনুমোদন দেয়ার কথা বলছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চাইছেন দ্রুততার সঙ্গে টিকা বাজারে আনতে। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রে এখনো অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি/এস্ট্রাজেনেকার তৈরি করা টিকার পরীক্ষা নিরাপত্তা সংশয়ে স্থগিত রয়েছে। তবে অন্য দেশগুলোতে এর পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ সপ্তাহের শুরুতে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স রাজ্যের গভর্নরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জনগণের মধ্যে এই মর্মে আস্থা গড়ে তুলতে যে, যে টিকা আসছে তা হবে নিরাপদ ও কার্যকর। যুক্তরাষ্ট্রের মহামারি বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসিও রাজ্য গভর্নরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনিও একটি পরীক্ষিত ও প্রকৃত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা টিকার ওপর আস্থা রাখেন, যার চেক এন্ড ব্যালেন্স যাচাই হয়েছে। একটি নিরপেক্ষ বোর্ড প্রতিটি টিকার পরীক্ষা মূল্যায়ন করছে। ওদিকে করোনা মহামারি মোকাবিলা নিয়ে বুধবার দিনের শেষে এফডিএ কমিশনার স্টিফেন হান, ড. অ্যান্থনি ফাউসি এবং অন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে সিনেটরদের। যদি বছরের শেষ নাগাদ জরুরিভিত্তিতে এই টিকা ব্যবহারে অনুমোদন দিতে হয় এফডিএ’কে, তাহলে সরবরাহ হবে সীমিত। তাতে বিপন্ন অবস্থায় আছেন এমন গ্রুপ, যেমন স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রথমেই এই টিকা দেয়া হবে। আগামী বছর ছাড়া বেশির ভাগ মার্কিনি সম্ভবত এই টিকা ব্যবহার করতে পারবেন না। এরই মধ্যে এই টিকা দেয়ার জন্য রাজ্য সরকারগুলো প্রস্তুত থাকুক এমনটা প্রত্যাশা করে সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য কংগ্রেশনাল ২০ কোটি ডলার অনুমোদনের ঘোষণা দেয়ার কথা বুধবার সিডিসির। হেলথ এন্ড হিউম্যান সার্ভিসেস সেক্রেটারি অ্যালেক আজার বলেন, কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি হবে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলোর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার ভিত্তিতে। ওদিকে জেএন্ডজে’র টিকা তৈরি হয়েছে সামান্য ভিন্ন প্রযুক্তিতে। ইবোলা টিকা তৈরিতে যে মডেল ব্যবহার করেছে তারা, এবারও অনেকটা সেরকমই। তারা অনেকটা পরে পরীক্ষা শুরু করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর