× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিতর্কিত এলাকা নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০, রবিবার, ৬:৪৮ পূর্বাহ্ন

জাতিগতভাবে আর্মেনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই আজারবাইজানের দুটি হেলিকপ্টার, তিনটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে আর্মেনিয়া। জানিয়েছে, আরো তিনটি ট্যাংক ধ্বংস করেছে তারা। তবে আজারবাইজান এমন দাবি অস্বীকার করেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এরইমধ্যে দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে আজারবাইজান। নাগার্নো-কারাবাখে বেশ কয়েকজন বেসামরিক হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়েছে, আজারবাইজানই প্রথম হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আর্মেনিয়া। তবে আজারবাইজান এ দাবি অস্বীকার করে জানিয়েছে, তারা আর্মেনিয়ার হামলার জবাব দিতেই ওই হামলা চালিয়েছিল।
যে অঞ্চলটি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ঝামেলা সেই নাগোর্নো-কারাবাখ একটি আর্মেনীয় সংখ্যাগোরিষ্ঠ অঞ্চল। জাতিগতভাবে আর্মেনীয়রাই এটি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এটিকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আজারবাইজান।
১৯৯১ সালে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে স্বাধীন হয় রাষ্ট্রদুটি। এরপর থেকেই নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে দ্বন্দ্ব দুই দেশের। নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে নাগার্নো-কারাবাখ। স্বাধীনতা ঘোষণার ২০ বছর পূর্তিতে অঞ্চলটির সেনাবাহিনী কুচকাওয়াজও করেছে। যদিও আন্তর্জাতিকভাবে একে আজারবাইজানের অংশ ধরা হয়। তবে এ অঞ্চলে আজারবাইজানের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। অঞ্চলটি পরিচালনা করে স্বাধীন নাগার্নো-কারাবাখ কর্তৃপক্ষ।
গত জুলাই মাসেও দুই দেশের মধ্যে লড়াইয়ের কারণে ১৬ জন নিহত হয়। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে জানানো হয়, নাগোর্নো-কারাবাখের আর্মেনীয় জাতিগোষ্ঠির ওপর আজারবাইজান হামলা চালায় রোববার সকালে। হামলা চালানো হয় ওই অঞ্চলের রাজধানী স্টেপনাকার্টে। এসময় আজারবাইজানের দুটি হেলিকপ্টার, তিনটি ড্রোন ও তিনটি ট্যাংক ধ্বংস করে আর্মেনিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, আজারবাইজানকে অবশ্যই উচিৎ শিক্ষা দেয়া হবে। এর জন্য দায়ি থাকবে আজারবাইজানের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই।
এদিকে, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর নাগার্নো-কারাবাখের অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ সেখানে সামরিক আইন জারি করেছে। সব সক্ষম পুরুষকে সামরিক বাহিনীতে ডাকা হয়েছে। অপরদিকে, আজারবাইজানও আর্মেনীয় হামলা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। আর্মেনিয়া আজারবাইজানে হামলা চালিয়েছে জানিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহীম কালিন এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তিনি যুদ্ধবিরতি ভাঙার জন্য আর্মেনিয়াকে দায়ি করেন। এরমধ্যে নাগার্নো-কারাবাখের নেতা আরিক হারুতিনইয়ান দাবি করেছেন, তুরস্কের 'ভারাটে' সেনারা আজারবাইজানে চলে এসেছে। তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে যে, তুরস্কের সেনারা এখন আজারবাইজানে চলে এসেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর