জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ মারা গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও ভারতে। তবে এই সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। কারণ, বিশ্বের অনেক দেশেই পরীক্ষা করা হয়েছে খুব কম মানুষকে। ধীর গতির পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলে সেসব দেশে ভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়নি। চীনের উহানে রহস্যময় এই ভাইরাল সংক্রমণ হওয়ার পর প্রায় ১০ মাস কেটে গেছে। এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে মানুষ শুধু মারা যাচ্ছেই।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাবে বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। তার মধ্যে বৃটেনে মারা গেছেন প্রায় ৪২ হাজার। গড়ে সেখানে প্রতিদিন আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৫০০ মানুষ। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ ও এর আশেপাশের এলাকায় বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি এবং ওয়াশিংটন পোস্ট। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহান্তে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ লাখ ছাড়িয়েছে। এ সময়ে সেখানে মারা গেছেন কমপক্ষে ২ লাখ ৪ হাজার মানুষ। ওদিকে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর এবারই প্রথমবার সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটের মুখে বিমান সংস্থাগুলো। ফলে আগামী বৃহস্পতিবার নাগাদ কমপক্ষে ৩৫ হাজার বিমানকর্মী চাকরি হারাতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রকে এখন অতিক্রম করার অবস্থায় রয়েছে ভারত। যদি বর্তমান ধারায় আগামী মাসে সংক্রমণ হয় তাহলে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে পেরিয়ে যাবে। ভারতে এখন হাসপাতালগুলো রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ দেয়ার ক্ষেত্রে একরকম লড়াই করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবার জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন হবে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে। বর্তমানে এ সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সৌদি আরব। এই সম্মেলনে যোগ দেন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও দ্রুত বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশের নেতারা। এতে আছে ১৯টি দেশ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, আগামী নভেম্বরে সম্মেলনের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এবারের সম্মেলন হবে অনলাইনে। ওদিকে ইউরোপের যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন রাশিয়াতে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে কমপক্ষে ১১ লাখ। সোমবার সেখানকার কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিযেছে যে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ১৩৫ জন। আগের দিন অর্থাৎ রোববার এ সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৮৬৭। সব মিলে সেখানে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন বলে সরকারি হিসাবে বলা হচ্ছে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, সরকার প্রকৃত সত্য গোপন করছে। স্পেনে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৭ লাখ মানুষ। সেখানে আবার নতুন করে সংক্রমণ দেয়া দিয়েছে। সোমবার ইউক্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে দুই লাখ। জার্মানিতে রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট বলেছে, সোমবার সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৯২ জন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১৪১১।