বাংলারজমিন

রাণীনগরে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

২০২০-০৯-২৯

লাগাতার বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে ধেয়ে আসা বন্যার পানিতে নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করায় রাণীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নে প্রতিবছরই ভাঙনকবলিত এলাকা হিসেবে পরিচিত নান্দাইবাড়ি বেড়িবাঁধ মধ্য জুলাইয়ের এক রাতে ভেঙে যায়। তখন থেকে লোকালয়ে নদীর পানি ঢুকে বসতবাড়ি শাক-সবজি তলিয়ে যাওয়াসহ বেশকিছু পুকুরের মাছ ভেসে যায়। নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নওগাঁর পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই বাঁধটি মেরামতের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করলেও ধীর গতিতে কাজ করায় ভাঙনকবলিত স্থান মেরামত হতে না হতেই আবারো নওগাঁ ছোট যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধটি ভেঙে আবারো পানি দ্রুত গতিতে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ফলে দফায় দফায় নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বসবাসরত মানুষরা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। জরুরি ভিত্তিতে এখনো পর্যন্ত সরকারি কোনো সাহায্য সহযোগিতা বানভাসি মানুষের কপালে জোটেনি। তারা বলছে কয়েক ঘণ্টার বন্যার পানির দাপটে বাড়িঘরে কোমর পানি হওয়ায় থাকা খাওয়া, রান্না করা ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছে। ইতিমধ্যেই রাণীনগর থেকে আত্রাই উপজেলা পর্যন্ত প্রায় ৪৬ কিলোমিটার সড়ক ও বেড়িবাঁধে বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়ে বন্যার পানি ফসলের মাঠের দিকে ঢুকছে। সরকারি কর্তাদের দৌড়ঝাঁপ চোখে না পড়লেও বাড়ি ঘর রক্ষার চেষ্টায় স্থানীয়রাই ব্যক্তিগত উদ্যোগে বালির বস্তা, চাটাই আর বাঁশ দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে।
জানা গেছে, গত ২০১৭ সালে বেড়িবাঁধ ভেঙে বন্যার পানিতে ডুবে ছিল জেলার রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার বেশকিছু অংশ। চলতি বর্ষা মৌসুমে লাগাতার কয়েক দফা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে ধেয়ে আসা ঢলের পানিতে ছোট যমুনা নদীর পানি হু হু করে বাড়তে থাকায় রাণীনগর উপজেলার নান্দাইবাড়ি-কৃষ্ণপুর নামক স্থানে নদী ঘেঁষা বেড়িবাঁধটি ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ছে।  গোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত খান হাসান জানান, নান্দাইবাড়ির এই বেড়িবাঁধটি স্থানীয় জনগণের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর ভেঙে এলাকাবাসীর ব্যাপক ক্ষতি হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের টনক নড়ে না। জনস্বার্থে এই বাঁধটি মেরামতের অনেক চেষ্টা করেছি। তবে জানতে পারলাম শুষ্ক মৌসুমে নাকি এর সংস্কার কাজ হবে।   
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম খান জানান, মধ্য জুলাইয়ে ভাঙনের পর বাঁধটি মেরামতের জন্য আমরা ঠিকাদার নিয়োগ করেছি। সেই মোতাবেক তারা কিছু কাজ করলেও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারো বাঁধটি ভেঙে যায়। তবে শুষ্ক মৌসুম না আসা পর্যন্ত স্থায়ীভাবে কাজ করা যাচ্ছে না।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status