× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তিন্নি হত্যার বিচার চেয়ে ইবিতে মানববন্ধন

শিক্ষাঙ্গন

ইবি প্রতিনিধি
(৩ বছর আগে) অক্টোবর ৩, ২০২০, শনিবার, ৫:৫০ পূর্বাহ্ন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ছাত্রী উলফাতারা তিন্নিকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে এই দাবি জানান তারা। এসময় মুখে কালো কাপড় বেধে তিন্নি হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

মানববন্ধনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, শাখা ছাত্রমৈত্রী, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও তিন্নির স্বজনরাসহ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে ধর্ষণের খবর। এটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ আমাদের তিন্নির সঙ্গে এমন হবে ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। তিন্নির এ রহস্য জনক মৃত্যু জাতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার চাই।
এসময় ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে তীব্র আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারী দেন তারা।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শয়ন কক্ষ থেকে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তিন্নির মরাদেহ উদ্ধার করে শৈলকূপা থানা পুলিশ। তিন্নি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। তার বাড়ি ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামে। তিন্নি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা সদস্য ইউসুফ আলীর মেয়ে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিন্নির বড় বোন মুন্নির একই গ্রামের নুরুদ্দীনের ছেলে জামিরুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। বনিবনা না হওয়ায় মুন্নির সাথে জামিরুলের বিচ্ছেদ ঘটে। এ নিয়ে তিন্নির পরিবারের সাথে জামিরুলের ঝামেলা চলছিল।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে জামিরুল বেশ কয়েকজনকে নিয়ে তিন্নিদের বাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে তাঁরা ফিরে যায়। কিন্তু এর দুই ঘন্টা পর আবারোও জামিরুল ওই বাড়িতে যায় এবং জোর করে তিন্নীর শোয়ার ঘরে প্রবেশ করে। এসময় তিন্নির ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়। পরে হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালাতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তিন্নির মরাদেহ ঝুলিয়ে রেখে যান জামিরুলসহ তার সহযোগীরা।

ঘটনার পরদিন নিহত তিন্নির মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে ৮ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ৮ জন আসামির মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার প্রধান আসামি জামিরুলসহ ৪ জন্য পতালক রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর