এতোদিন প্রশাসন সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল হাথরাসের বুলগারদি গ্রামে। শনিবার দুপুরে সাংবাদিকরা প্রথম প্রবেশ করার অনুমতি পান বুলগারদিতে। এই বুলগারদিতেই নরখাদকরা ছিঁড়ে খেয়েছে ১৯ বছরের অন্ত্যজ বাল্মীকি কন্যাকে। দিল্লির হাসপাতালে শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেছে সে। সাংবাদিকদের হাতের কাছে পেয়ে ডুকরে কেঁদে উঠলো মৃতার ভাই- জানেন, ওরা আমাদের দেহটা দেখতে পর্যন্ত দেয়নি। কাকে ওরা শ্মশানে পোড়ালো তা আজও আমাদের অজানা। গ্রামের অধিকারী আমাদের হাতে টাকা গুঁজে দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার কথা বলেছিল। আমরা টাকা চাই না, চাই সুবিচার। বোনের ধর্ষকদের যেন ফাঁসি হয়। বলতে বলতে ঝর ঝর করে কেঁদে ফেললো বছর সতেরোর কিশোরটি। পরিবারের সদস্য এক বর্ষীয়ান বললেন, পুলিশ আমাদের বাড়িতে থানা গেড়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খামের গায়ে ডাকটিকিটের মতো সেঁটে রয়েছে। আব্রু রক্ষা করা দায় হচ্ছে। পরিবারের আর এক কর্তার অভিযোগ, আমরা পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট দেখতে চেয়েছিলাম। আমাদের বলা হল, ইংরেজি আমরা বুঝতে পারবো না।
এটা কি মধ্যযুগিও বর্বরতা নয়? এক পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, পরিবারের নিরাপত্তার জন্যেই এই ব্যবস্থা। শ্মশানে দেহটি দাহ করার সময় পরিবারের কাউকে ডাকা হলো না কেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য দিতে পারেনি গেরুয়াধারী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের আধিকারিক।
সাংবাদিকদের গ্রামে ঢুকতে না দিয়ে কি মহৎ কার্য হল তা অবশ্য বোঝার বাইরে। শনিবার সাংবাদিকরা গ্রামে গেলেও পুলিশি ব্যবস্থা ছিল দেখার মতো। সাঁজোয়া গাড়ি, জলকামান, টিয়ার গ্যাস সব মজুত ছিল। কে যেন বলে গেছে, অসির থেকে মসির শক্তি বেশি !।