একদা আইনহীন বুনো পশ্চিমে অপরাধীকে ধরে 'মব' সবচেয়ে কাছের কটনউড গাছে ঝুলিয়ে দিতো। অসংখ্য আইনের লোক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এই মবকে বাধা দিতে গিয়ে নিজের জীবনও দিয়েছেন। এভাবেই ধীরে ধীরে সেই বুনো পশ্চিমে আজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
যেকোনো ঘটনায় সংক্ষুব্ধ জনগণ আবেগের বশবর্তী হয়ে নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। কখনো তা যৌক্তিক, কখনো আবার তা অযৌক্তিক। কিন্তু আইনকে তার নিজের পথেই হাঁটতে হয়। এভাবেই একটি সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পায়।
কেবল সিলেট কিংবা নোয়াখালী নয়, গোটা দেশেই এখন ধর্ষণের মহামারি চলছে। কেউ কেউ ধর্ষকদের ক্রসফায়ারে দেয়ার কথা বলছেন।
একধরণের লোকজন না বুঝে দিশেহারা হয়ে এ দাবি করেছেন। আরেক ধরণের গোষ্ঠী সব বুঝেও ধর্ষণের মূল কারণকে ধামাচাপা দিতে উপযাচক হয়ে 'ক্রসফায়ার তত্ত্ব' সামনে আনছেন।
অপরাধীর দ্রুত বিচারের নামে 'ক্রসফায়ার পদ্ধতি' সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাকে কেবল বিলম্বিতই করে।
আইনের শাসনের বিকল্প কেবলই আইনের শাসন।
লেখকঃ সহযোগী অধ্যাপক
আইইআর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
লেখাটি তার ফেসবুক থেকে নেয়া।