× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাথাপিছু ব্যয় যে বাড়ছে তার খবর কি রাখছি?

মত-মতান্তর

কাজল ঘোষ
১৬ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার

টাইমস অব ইন্ডিয়া দু’দিন আগেই একটি সুখবর দিল। খবরটি আইএমএফ সূত্রে। জিডিপিতে ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মাথাপিছু আয় বেড়ে ৮৮৬ ডলার হচ্ছে। গেল বছরের তুলনায় এ বছর তা বাড়বে ৪ শতাংশ। খবরটা খুশির। কিন্তু জিডিপির এ আয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না সাধারণ। মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে বাজারে পণ্যের দাম আকাশচুম্বি হওয়ার সম্পর্ক আছে কিনা? এটা অবশ্য অর্থনীতিবিদরাই ভাল বলতে পারবেন।
যদিও এ খবর আসার অনেক আগ থেকেই বাজারে আগুন। যখনই বাজারমূল্য বাড়ে, মিডিয়ায় খবর হয় তখন মন্ত্রণালয় নড়েচড়ে বসে। ক’দিন পর যেই লাউ সেই কদু।

পেয়াজ নিয়ে হইচই চলছে এক বছর ধরে। ফি বছর ডাবল সেঞ্চুরি হল। এখন একই অবস্থার দিকে যাচ্ছে। সরকারের অবস্থা এমন মিডিয়া কিছু লিখলে তারা জানতে পারেন পণ্যমূল্য বাড়ছে। সিন্ডিকেট আছে। সহজ প্রশ্নের উত্তর বাজারে জানতে চাইলে বলে আমরা কি করব? আমরা কিনি বেশি দামে, বেচি বেশি দামে। কাঁচামরিচের দাম তিনশত টাকা ছুইছুই। ভাত কমিয়ে আলু খান, চালের ওপর চাপ কমান। সরকারের এই স্লোগান এখন ফিকে হতে চলেছে। যে আলু ছিল গরিবের খাবার। তাতেও এখনও দুষ্ট চক্রের হাত। আলু লাগামহীন ছুটে চলেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশনা দিয়েছে এত দামে বিকোতে হবে। কে শোনে কার কথা। চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী। বাজারে গেলে যে কোন সবজি এখন ১০০ টাকা। ঘরে ঘরে এখন সবজি খাওয়া কমিয়ে দেয়া হয়েছে।

যে আলু ছিল মানুষের খাদ্য তালিকার দুঃসময়ের সঙ্গী তাও এখন অপাংক্তেয়। গরিব, দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ বাঁচবে কি করে? মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে তার কি লেনাদেনা। একজনকে এমন প্রশ্ন করতেই বললেন, আমি বুঝি, যা আয় করি তা দিয়ে চলতে পারি কি না। এখন যে কোন সবজি কিনতে বাজারে গেলেই একশত টাকার নোট দিতে হচ্ছে। সবমিলে একবেলা তিন চারজনের পরিবারের জন্য দিনপ্রতি প্রায় এক হাজার টাকা ব্যয় পড়ে যাচ্ছে। কিভাবে এই ব্যয় সামলাবো? সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে এই ব্যয় সামলাতেই।

কথাবার্তা নেই অভিযানে নামে, ফটোসেশন হয়। কিন্তু কাজের কাজ কি হচ্ছে? এটা তো তাৎক্ষণিক অভিযানের বিষয় নয়। এর জন্য সার্বক্ষণিক তদারকি করার কথা। মন্ত্রী আর মন্ত্রণালয় লোক হাসানো কথাবার্তা বলেন। কিছুদিন আগেও মন্ত্রী বিপুল পরিমাণ পেয়াজ আমদানির কথা বললেন। মনে হলো, আমরা বোধকরি পেয়াজের বন্যায় ভেসে যাব। অনলাইনে ৩৬ টাকা দরে পেয়াজ বিক্রির ঘোষণা দিলেন। কিন্তু কি হলো? বাজারে এখন পেয়াজ একশত টাকা। পঁচিশ টাকার পেয়াজ একশত টাকা ভাবা যায়। আলু যেখানে বিশ টাকা তা এখন ষাট টাকা। করলা, ঢেড়শ, পেঁপে যা কিছু কিনতে চাইবেন দামে আগুন। চড়া মাছের বাজারও। চিনির বাজারও লাফিয়ে বাড়ছে। পকেট ভারি করে বাজারে গিয়ে ফাঁকা হয়ে ফিরতে হচ্ছে। মানুষ কতটা অসহায় তা বাজারে গেলে টের পাওয়া যায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর