প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপে স্থবির অর্থনীতি। থমকে গেছে অনেকের জীবন-জীবিকা। করোনার বড় প্রভাব পড়েছে রাজধানীর জনজীবনে। চাকরি হারিয়ে অনেকে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন। এতে বাড়ি ভাড়ার ওপর নির্ভরশীল অনেকে পড়েছেন বিপাকে। এ অবস্থায় পৌরকর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করা কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে তাদের জন্য। এই অর্থনৈতিক মন্দা বিবেচনায় রিবেট সুবিধাসহ পৌরকর পরিশোধ সুবিধা ও সারচার্জ ব্যতীত ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের সুযোগ দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও এই সুযোগ ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত করেছে।
তবে, এ সিটির অনেক বাসিন্দার দাবি দক্ষিণ সিটির মতো উত্তরেও যাতে এ সুবিধা ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। হোল্ডিংস মালিকদের দাবি, করোনার কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। যার ফলে সময়মতো পৌরকর দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফার্মগেট এলাকার বাসিন্দা একটি হোল্ডিংসের মালিক আবেদুর রহমান বলেন, চার তলা বাড়ির ৮টি ফ্ল্যাটের ৪টিই ফাঁকা। বাড়ি ভাড়া কমিয়ে এনেও ভাড়াটিয়া পাচ্ছি না। এই বাড়ি ছাড়া আমার আর কোনো সম্বল নেই। এ অবস্থায় কর পরিশোধে সময় বাড়ালে আমরা উপকৃত হবো। ওই এলাকার আরেকজন বাড়ির মালিক বলেন, আমি সময়মতো পৌরকর পরিশোধ করে আসছি। কিন্তু করোনার এই সময়ে আমি বাড়ির বাইরে যেতে পারছি না। সার্বিক দিক বিবেচনায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মতো উত্তরেও পৌরকর পরিশোধের সময় বৃদ্ধির দাবি জানান তিনি। বাড়িওয়ালা মিজানুর রহমানও দক্ষিণের মতো সুযোগ প্রদানের আহ্বান জানান। দক্ষিণ সিটির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আর্থিক অসুবিধার কারণে ৩০শে সেপ্টেম্বর তারিখের মধ্যে অধিকাংশ সম্মানিত পৌরকর দাতা রিবেট সুবিধাসহ পৌরকর পরিশোধ করতে এবং সম্মানিত ব্যবসায়ীগণ সারচার্জ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে পারেননি। তাই ২০২০-২০২১ অর্থবছরের ৪ কিস্তিতে পৌরকরের ওপর ১০ শতাংশ রিবেট সুবিধাসহ এবং সারচার্জ ব্যতীত ট্রেড লাইসেন্সের সময়সীমা ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।